ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২১ ভাদ্র ১৪৩১, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করলেন নায়ক রিয়াজ 

বিনোদন প্রতিবেদক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২৩
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করলেন নায়ক রিয়াজ 

জনপ্রিয় চিত্রনায়ক রিয়াজ আহমেদের বিরুদ্ধে গত পহেলা এপ্রিল 'প্রতারণা ও বিশ্বাসঘাতকতা'র অভিযোগ তুলেছিলেন হারুনুর রশীদ কাজল (জ্যাম্বস্ কাজল) নামের এক পরিচালক।

তখন রিয়াজ তার বিরুদ্ধে আনা যাবতীয়  অভিযোগ আইনিভাবে মোকাবিলা করবেন বলে জানিয়েছেন; অবশেষে তাই করলেন এই চিত্রতারকা।

 

পরিচালক জ্যাম্বস্ কাজলের বিরুদ্ধে ১৬ এপ্রিল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫ ও ২৯ ধারায় সাইবার ট্রাইব্যুনালে  ঢাকায় একটি মামলা দায়ের করেন রিয়াজ। যার পিটিশন মামলা নং ১৬৭/২০২৩।

মামলা দায়ের করার পর রিয়াজ বলেন, যিনি আমাকে নোংরা উপাধি দিয়েছেন আমি মনে করি এগুলোতে আমার সম্মানহানি হয়েছে। শুরুতে বলেছিলাম এসবের বিরুদ্ধে মামলা করবো। আমি আমার কথা রেখেছি।  

রিয়াজ আরও বলেন, দেশের সচেতন নাগরিক হিসেবে আইনের আশ্রয় নেওয়া আমার অধিকার। এজন্য আমি সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে মামলা করেছি। বিজ্ঞ আদালত আমার মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআই-কে তদন্তভার দিয়েছেন। আইনের প্রতি আমি আস্থাশীল। সত্য মিথ্যে কোনটি কি আদালত রায় দেবেন।  

নিকট অতীতে চলচ্চিত্রাঙ্গাণে আরও দেখা গেছে, সম্মানিত একাধিক শিল্পীর বিরুদ্ধে হঠাৎ কেউ কেউ লিখিতভাবে গুরুতর অভিযোগ জমা দেন। সেগুলো যাচাই-বাছাই করার আগেই ফলাও করে খবর প্রকাশ হয়। শুধুমাত্র একপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে সেইসব শিল্পীকে তুলোধুনো করে কাঠগড়ায় তোলা হয়।

আলাপকালে এ প্রসঙ্গ টেনে রিয়াজ বলেন, যেকোনো শিল্পীর বিরুদ্ধে যখন যে যা খুশি এসে চিঠি দিচ্ছে এবং প্রেসে কথা বলছে। সেই শিল্পীর মানইজ্জত নিয়ে রীতিমতো খেলা করা হচ্ছে। এগুলো তো কিছুদিন পর  চাঁদাবাজি নতুন রুলস হতে পারে! 

উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, যে কেউ বা একজন মেয়ে হয়তো আগামীতে এসে বলতে পারে উমুকে আমাকে নামে ইনডিসেন্ট প্রপোজাল দিয়েছেন। এগুলোর ঢাকতে হলে টাকা দিতে হবে।  

রিয়াজ মনে করেন, এসব ঘটনা যেন আগামীতে না ঘটে সেই কারণে তিনি তার অবস্থান থেকে তার সঙ্গে ঘটা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেন।  

সিনেমায় দুই যুগের বেশি সময় ধরে অভিনয় করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, একজন রিয়াজকে সাধনা করে চলতে হয়েছে। ক্লিন ইমেজ রাখার জন্য এক পা সামনে বাড়ালে ভালো মন্দ বোঝার জন্য দুই পা পিছনে যেতে হয়েছে। এরমধ্যে অনেক ত্যাগ তিতিক্ষা তো আছেই।  

"এজন্য আমার যেমন কষ্ট করতে হয়েছে তেমনি অনেক অর্জন আছে। এফডিসির মত জায়গায় দাঁড়িয়ে যদি হঠাৎ কোনো পরিচালক আমার নামে প্রতারণার অভিযোগ করেন তা কোনোভাবে কাম্য নয়। আইসিটি অ্যাক্টে মামলা করেছি। আমার আইনজীবী আরও দুটো মানহানির মামলার পরামর্শ দিয়েছেন। "

রিয়াজ বাদী হয়ে দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করেছেন, আসামী হারুন অর শরীদ ওরফে জ্যাম্বস্ কাজল ৩১ মার্চ তার বিরুদ্ধে ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট দিয়ে সামাজিকভাবে হেয়, হেনস্থা ও হীন উদ্দেশ্যে মিথ্যে মানহানিকর বক্তব্য দিয়ে একটি পোস্ট দেন।  

পহেলা এপ্রিলে এফডিসিতে এক সংবাদ সম্মেলন করে রিয়াজের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ও মানহানিকর বক্তব্য প্রদান করেন হারুনুর রশীদ কাজল (জ্যাম্বস্ কাজল)।

রিয়াজ মনে করেন, এসব অভিযোগ একতরফা নিউজে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়, যার ফলে রিয়াজকে চরমভাবে ইমেজ ক্ষতি মুখে পড়তে হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মামলাটি আদালত গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে 'পিবিআই'র আছে তদন্তের দায়িত্ব দেয়। তদন্ত সাপেক্ষে ১৩ জুলাইয়ের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২৩
এমএইচএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।