ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিনোদন

পঞ্চকবির গানে শুরু ১০ দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৫ ঘণ্টা, জুন ১, ২০২৩
পঞ্চকবির গানে শুরু ১০ দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে প্রতিশ্রুতিশীল, ভাওয়াইয়া, বাউল, প্রবীণ ও শিশু-কিশোরদের জন্য ১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। আয়োজনের ১ম দিন বৃহস্পতিবার (০১ জুন) সন্ধ্যায় ছিল পঞ্চকবির গান।

বাংলা সাহিত্যে পঞ্চকবি হলেন পাঁচজন কবি যারা কবিতা লেখার পাশাপাশি একইসঙ্গে গীতিকার, সুরকার এবং গায়ক। এরা হলেন- কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, রজনীকান্ত সেন ও অতুলপ্রসাদ সেন। এই পঞ্চকবির গান নিয়ে জাতীয় সংগীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে বৃহস্পতিবারের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই সংক্ষিপ্ত আলোচনা পর্বে বক্তব্য তুলে ধরেন নজরুল বিশেষজ্ঞ সঙ্গীত শিল্পী খায়রুল আনাম শাকিল এবং অনিমা রায়। প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পীদের নিয়ে শিল্পকলা একাডেমির এ আয়োজনের প্রসংশা করেন তারা।

পরে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য উপস্থাপন করেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। তিনি বলেন, শিল্পকলা একাডেমি ১ হাজারের বেশি শিল্পী তালিকাভুক্ত করেছে। সকল শিল্পী ও শিল্পের বিকাশের লক্ষেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি, যাতে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও আমরা তা ছড়িয়ে দিতে পারি।

তিনি আরো বলেন, হাজার বছরের পুরোনো বাংলার সমৃদ্ধ সংস্কৃতি সম্পর্কে নতুনদের জানাতে হবে। পঞ্চকবি দেশের সম্পদ। রুচিশীল হয়ে বাঁচতে এই পঞ্চকবির জীবন দর্শন অনেক উচ্চতায়। বর্তমানে রুচির দুর্ভিক্ষ তৈরি হচ্ছে, যেখানে ভাবভঙ্গি প্রকাশের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই, কোন শিল্প নেই। যে যেভাবে পারছে এটিকে ব্যবহার করছে, ফলে সেখান থেকে উত্তরণ ঘটাতে পারে কেবল শুদ্ধ শিল্প-সংস্কৃতি চর্চা।  

পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরুতেই একক সংগীত পরিবেশন করেন সুস্মিতা দাস ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’। এরপর অনিমা রায় ‘বধুয়া নিদ নাহি আঁখি পাতে’, শবরী মজুমদার ‘এই কথাটি মনে রেখো’। একক নৃত্য পরিবেশন করেন অনিন্দিতা খান ‘জয় হোক’। ‘আমি চিরতরে দূরে যাব তবু’ একক সংগীত পরিবেশন করেন সঞ্জয় কবিরাজ। ‘সখা তোমারে পাইলে আর’ পরিবেশন করেন মণীষা সরকার। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘হঠাৎ দেখা’ আবৃত্তি করেন মো. সিরাজুর রহমান। এরপর আবারো নৃত্য পরিবেশন করেন প্রিয়াংকা সরকার।

খাইরুল আনাম শাকিল পরিবেশন করেন কবি নজরুলের গান। এরপরে সংগীত পরিবেশন করেন তমালিকা হালদার, মতিউর রহমান। এরপর নৃত্য পরিবেশন করেন সাইফুল ইসলাম সাকী। কবি কাজী নজরুলের ‘কুলিমজুর’ আবৃত্তি করেন সিফাত আরা ভুঁইয়া। এরপর সংগীত পরিবেশনায় ছিলেন কবরী দাস, একক নৃত্যে এস এম হাসান ইসতিয়াক ইমরান এবং দেবজানী দাসের একক সংগীত পরিবেশনার মধ্যে দিয়ে শেষ হয় প্রথম দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন। অনুষ্ঠানের উপস্থাপনায় ছিলেন দিলরুবা সাথী।

১০ দিন ব্যাপী এ অনুষ্ঠানমালা চলবে ১১ জুন পর্যন্ত। এর অংশ হিসেবে শুক্রবার (০২ মে) পরিবেশিত হবে দেশের গানের অনুষ্ঠান: প্রিয় দেশমাতৃকা। এর পর থাকবে বাউল গানের অনুষ্ঠান; অচিনপাখি, বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের গান নিয়ে অনুষ্ঠান; সিনেমার গান, পালাগান, শিশু-কিশোরদের নিয়ে অনুষ্ঠান; নতুন যৌবনের দূত এবং ভাওয়াইয়া গানের অনুষ্ঠান; মাটির সুরসহ নানা আয়োজন। অনুষ্ঠানটি হবে একাডেমির জাতীয় সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০২৩
এনএটি 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।