ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ মে ২০২৪, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

বিনোদন

হাজার কোটি দুর্নীতির মামলায় পুলিশি জেরার মুখে গোবিন্দ

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৩
হাজার কোটি দুর্নীতির মামলায় পুলিশি জেরার মুখে গোবিন্দ গোবিন্দ

হাজার কোটি টাকার অনলাইন ‘পঞ্জি’ কেলেঙ্কারিতে নাম জড়াল বলিউডের এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা গোবিন্দর। বলিউডের ‘হিরো নম্বর ওয়ান’কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছে ভারতের ওডিশার অর্থনৈতিক অপরাধ দমন শাখা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, সোলার টেকনো অ্যালায়েন্স নামক কোম্পানি ক্রিপ্টো কারেন্সির আড়ালে ভারতে প্রতারণার জাল বিস্তার করেছিল। সেই কোম্পানির হয়ে বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনে দেখা গেছে গোবিন্দকে। এ কারণেই অভিনেতার নামে অভিযোগ, প্রতারক ওই সংস্থার কার্যকলাপ সমর্থন করছেন গোবিন্দ। আর সেই কারণে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

ওডিশার অর্থনৈতিক অপরাধ দমন শাখার কর্মকর্তা জে এন পঙ্কজ জানিয়েছেন, খুব শিগগিরই অভিনেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। গোবিন্দকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য একটি টিম মুম্বাইতে যাবে।

গেল জুলাই মাসে ওই কোম্পানির একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গোয়াতে গিয়েছিলেন গোবিন্দ। সেখানে কোম্পানিটির বিভিন্ন প্রচারমূলক অনুষ্ঠানে দেখা গেছে তাকে।

এ বিষয়ে কর্মকর্তা জে এন পঙ্কজ আরও বলেন, গোবিন্দ এ ঘটনায় অভিযুক্ত নন, কিংবা সন্দেহভাজনও নন। পরে যদি দেখা যায় যে, সোলার টেকনো অ্যালায়েন্সের সঙ্গে গোবিন্দ বিজ্ঞাপনের চুক্তিতেই সীমাবদ্ধ ছিলেন, তাহলে তাকে সাক্ষী হিসাবে পেশ করা হবে। আমাদের তদন্তের স্বার্থে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত বলিউড সুপারস্টারের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে এ নিয়ে মুখ খুলেছে তার টিম। গোবিন্দর ম্যানেজার সাসি সিনহা বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে অভিনেতার কোনো যোগাযোগ নেই। একটি কোম্পানির ইভেন্টে গোবিন্দ গিয়েছিলেন এবং তিনি ফেরতও আসেন। এর সঙ্গে সংস্থার ব্যবসা বা ব্র্যান্ডিংয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। অর্ধসত্য চারদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

চলতি বছরের শুরুতেই এই ঘটনায় কোম্পানিটির ভারত ও ওডিশার প্রধান গুরতেজ সিং সিন্ধু এবং নিরোধ দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই দুজন ছাড়াও বিনিয়োগ পরামর্শদাতা রতনাকর পালাইকেও আগস্টে গ্রেপ্তার করা হয়।

ওডিশা পুলিশ জানিয়েছে, ক্রিপ্টো কারেন্সিতে বিনিয়োগের নামে এই কোম্পানি ভদ্রক, ময়ূরভঞ্জ, ভুবনেশ্বরে কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষের কাছ থেকে প্রায় ৩০ কোটি টাকা তুলেছিল। এছাড়া উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা, দিল্লি, ঝাড়খণ্ড, পাঞ্জাব, রাজস্থানেও এই সংস্থার জাল ছড়িয়েছিল বলে তদন্তকারীদের ধারণা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৩
এনএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।