ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিনোদন

যোগ্যতাহীন লোকেরা সিন্ডিকেট করে: প্রীতম আহমেদ

নাজমুল আহসান তালুকদার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০২৩
যোগ্যতাহীন লোকেরা সিন্ডিকেট করে: প্রীতম আহমেদ প্রীতম আহমেদ

নিজে লেখেন, সুর করেন ও সেই গান নিজের কণ্ঠেই ধারণ করেন। গানের কথায় উঠে আসে প্রতিবাদ।

তিনি আলোচিত গায়ক প্রীতম আহমেদ। ‘বালিকা’খ্যাত এই গায়ক বর্তমানে থাকেন যুক্তরাজ্যে। সেখানে সংগীত বিষয়ে গবেষণা এবং শিক্ষকতা করছেন। আবার হলিউডের বড় বড় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে অভিনয়ও করছেন। জীবনের নানা বাঁক বদল, বর্তমান ক্যারিয়ার এবং ভবিষৎ পরিকল্পনা নিয়ে বাংলানিউজের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রীতম আহমেদ।  

বাংলানিউজ: সংগীতশিল্পী থেকে অভিনেতা! আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মের সিনেমা ও ওয়েব সিরিজে অভিনয় করছেন নিয়মিত। এ নিয়ে জানতে চাই...
প্রীতম আহমেদ:
 আমি পুরোটাই মিউজিকের মানুষ, কিন্তু ভাগ্য আমাকে অভিনয়ে এনেছে। মিউজিকের জন্য আমি দেশ ছেড়েছি। দিনের পর দিন জীবননাশের হুমকি পেয়েছি। মামলায় জড়িয়েছি। তবে ইতোমধ্যেই নেটফ্লিক্স, ওয়ার্নার ব্রাদার্স, অ্যামাজন, ম্যাটেল, সনির মতো আন্তর্জাতিক ওটিটি প্ল্যাটফর্মের সিনেমা ও ওয়েব সিরিজে অভিনয় করেছি। ‘আফটার শক’ নামে নেপালের ভূমিকম্প নিয়ে নেটফ্লিক্স ওয়ার্ল্ড ডকুমেন্টরি করেছিল সেখানে লিড ক্যারেক্টার করেছিলাম। এছাড়া ব্রিটিশ রাজপরিবারের গল্প নিয়ে বিখ্যাত সিরিজ ‘দ্য ক্রাউন’-এ অভিনয়ের সুযোগ অনেক বড় পাওয়া। কারণ সেখানে বিশ্ববরেণ্য কিছু অভিনয়শিল্পীরা ছিলেন।  

বাংলানিউজ: দেশের নাটক-সিনেমায় অভিনয়ের পরিকল্পনা আছে?
প্রীতম আহমেদ:
গান আমার প্রথম ভালোবাসা। ভালো পরিবেশ থাকলে দেশেও অভিনয় করতাম। এখন ওটিটির কারণে যে ফ্লেক্সিবিলিটি দেখেন ১৫-২০ বছর আগে এমন ছিল না। আমি মিউজিক শুরু করেছি ১৯৯৯ সালে, তখন প্রথম গান প্রকাশ পায়। তখন একটা সেক্টরে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করাটাই ছিল যুদ্ধের। এটা করতে করতে যখন ভাবলাম অভিনয় করা যায়, তখন আর আমার দেশে থাকা হয়নি নানা কারণে। তবে এখন দেশে ভালো কাজ পেলে অভিনয় করব। সেখানে যদি পারিশ্রমিক নাও দেয়। যেমন আমি কোনও বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজে গান করতে গেলে খুব একটা পয়সা নেই না। ছাত্রদের আয়োজনে মোটা অংকের টাকা নেওয়ার মানসিকতা আমার নেই।

বাংলানিউজ: গানে যখন প্রতিষ্ঠিত, তখন দেশ ছেড়ে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। এই চলে যাওয়ার পেছনে কারণ কী? 
প্রীতম আহমেদ:
প্রথমত, একজন শিল্পীর সঙ্গে আমার ঝামেলা হয়, যে আমাকে মিডিয়ায় আর কাজ করতে দেয়নি। ২০০৬ সালে থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত আমি টেলিভিশনে কোনও অনুষ্ঠান করতে পারিনি, কোনও সংবাদপত্রে নিউজ হতো না। তখন নানা রকম কর্ম ও অর্থ সংকটে দেশ ছাড়তে বাধ্য হই। ২০১২ সালের দিকে দেশে ফিরে আসি। তখন মোবাইল অপারেটরগুলোতে তার কোনও ক্ষমতা ছিল না। ওই সময় ‘ভোট ফর ঠোঁট’ অ্যালবামটি করি এবং বেশ ভালো চলে সেটি। এরপর ক্যারিয়ার গোছানোর চেষ্টা করলাম, কিন্তু সেই সময় ওই লোকটি আবার কপিরাইট ইস্যুতে ঝামেলায় ফেলার চেষ্টা করল।

তখন দেশে থাকা আমার জন্য কষ্টের হয়ে গেল। একটা গান রিলিজ হলে মোবাইল অপারেটরদের কাছ থেকে বড় ধরণের ব্যবসা আছে আমাদের। কিন্তু কোম্পানিগুলো আমার গানের প্রমোশন করা ও নেওয়া বন্ধ করে দিল। সো আমার রোজগার লাইভ কনসার্ট, যেটা বছরের নিদিষ্ট সময়ে হয়। তাই পেশাজীবী হিসেবে বেঁচে থাকা কষ্টের হয়ে গেল, তাছাড়া আমার স্ত্রীও থাকেন যুক্তরাজ্যে। তারপর চিন্তা করলাম- এ ধরণের শোষণ-নিপীড়ন থেকে রক্ষা পেতে হবে, পড়াশোনা করে নিজের একাডেমিক ক্যারিয়ার গোছানো ভালো। সেজন্য একাডেমিক কোয়ালিফিকিশন এস্টাবলিস্ট করতে লাগলাম। বর্তমানে মিউজিকের ওপর পিএইচডি করছি। একটি কলেজে মিউজিকের ওপর পড়াচ্ছি।  

বাংলানিউজ: একটি দেশে পরিচিতি ও প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর অন্য একটি দেশে নতুন করে ক্যারিয়ার গোছানোর জার্নি কেমন ছিল?
প্রীতম আহমেদ:
এটাতো স্বাভাবিক কষ্টের, কিন্তু মেনে নিতে হয়। ওখানে গিয়ে জিরো নয় মাইনাস থেকে শুরু করেছি। তাদের ম্যানারস, সংস্কৃতি, ভাষা- সব নতুন করে শিখতে হয়েছে। আমি প্রাপ্ত বয়স্ক, একটি জায়গায় অভস্ত্য একটা মানুষ সেখানে সব কিছু নতুন করে শুরু করে কষ্ট করেই টিকে থাকতে হয়েছে।

বাংলানিউজ: সাত বছর ধরে যুক্তরাজ্যে থাকছেন, দেশেও যাতায়াত রয়েছে। দেশে নতুন কাজের পরিকল্পনা করছেন?
প্রীতম আহমেদ:
কিছু মিটিং করেছি, কিছু পরিকল্পনা হয়েছে। আশা করি, নির্বাচনের পর দেশে বেশ কিছু কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকব। সেখানে নতুন গানের পাশাপাশি কনসার্ট এবং অভিনয়ও থাকবে। আমার গবেষণা যেহেতু মিউজিক নিয়ে, তাই কয়েক ধরণের পেশাজীবী শিল্পীর সঙ্গে কাজ করব। ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা- এসব জায়গাতে কাজ করব।  

বাংলানিউজ: ক্যারিয়ারের শুরুতেই ‘বালিকা’ গানের মাধ্যমে পরিচিতি পেয়েছেন। কর্মজীবনের শুরুটা কেমন ছিল?
প্রীতম আহমেদ:
১৯৯৫ সালের পর গানের শিক্ষক হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করি। ১৯৯৯ সালে চ্যানেল আইয়ে আমি জয়েন করি প্রযোজক হিসেবে। ২০০৫ সাল পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটিতে কাজ করি। এরপরের বছর সেই ঘটনায় এখান থেকেও আমাকে চলে যেতে হয়। কারণ আমি যে কয়েকটি অনুষ্ঠান করতাম সেগুলোর স্পন্সর ছিল মিউজিক প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সাউন্ডটেক। তারা আমাকে ফাইনান্স করা বন্ধ করে দেয়।  

বাংলানিউজ: ১৯৯৯-এ প্রথম গান প্রকাশ, বয়সের সংখ্যার হিসেব করলে ক্যারিয়ারে ২৫ বছর পূর্তিতে পা রাখতে যাচ্ছেন। এ নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা?
প্রীতম আহমেদ:
আসছে নভেম্বরে আমার ক্যারিয়ারের ২৪ বছর সম্পন্ন হবে। ২৫ বছর পূর্তিতে কৃতজ্ঞতাস্বরূপ বন্ধু, সহকর্মী, সংবাদকর্মী সবাইকে নিয়ে একটা গেটটুগেদার করব। কিছু গানেও পারফর্ম করব। এছাড়া দিনটি স্বরণীয় করে রাখতে আমার প্রথম গান ‘বালিকা’ আবারও রিমেক করে গাইব।

বাংলানিউজ: কর্মজীবনে পাওয়া না পাওয়ার হিসেব কষলে যোগফলে প্রাপ্তি বা আক্ষেপ কতোটা?
প্রীতম আহমেদ:
পৃথিবীর কোন দেশে কেউ যদি সত্যের জন্য প্রতিবাদ করে তার পাশে পাঁচটা মানুষ দাঁড়ায়। কিন্তু আমাদের সমাজে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়। আমি একজন সিঙ্গার-সং-রাইটার, মঙ্গা নিয়ে গান করেছিলাম ‘ধুমমা চলে’ গানের বিরুদ্ধে। আমাদের এখানকার আরেকজন শিল্পী সেই গানের সুরে নকল গান গেয়েছিল, আমি তার নামও নেইনি কোথাও! আমি শুধু বলেছিলাম, ‘‘যে দেশের মানুষ মঙ্গায় মারা যায়, সেখানে মেকআপ নিয়ে হোটেলের ডান্স ফ্লোরে গিয়ে ‘ধুমমা চলে’র সুরে গান গাওয়া সম্ভব না’’। এই কারণে ওই শিল্পী সাউন্ডটেক থেকে আমার স্পন্সর বন্ধ করালো, বিনোদন সাংবাদিক এনাম সরকারের মাধ্যমে প্রত্যেকটা পত্রিকা-টিভি থেকে নিউউ-প্রোগ্রাম বন্ধ করিয়েছে। যেসব চ্যানেলে আমার গান প্রচার হতো সেখানে প্রযোজকদের ফোন করে বলা হয়, ‘প্রীতমের গান চালালে খবর আছে’। এভাবে একটা শিল্পী বাঁচে কীভাবে? অথচ আমি তার নামে কিছুই বলিনি। সবার তো বিবেক আছে, কেউ তখন আমার পাশে দাঁড়ায়নি! এটা কী আমার আক্ষেপ হওয়া উচিৎ না? 

বাংলানিউজ: গানে কী এমন ছিল যে কারণেই আপনার পেছনে লাগলো?
প্রীতম আহমেদ:
‘মঙ্গা’ গানের কথা ছিল এমন ‘‘দেশে মানুষ মরে মঙ্গায়, অবহেলা আর অবজ্ঞায়, সেই দেশের মানুষ ধুমমা চলে’র সুরে গায় ধুমমা চলে ধুম’’। তখন সেই শিল্পী (আসিফ আকবর) গেয়েছিল ‘‘বাঁচবো না মরে যাবো, ও’পারে চলে যাবো পৃথিবীকে জানিয়ে বিদায়’’। বিষয়টি তিনি তার ঘারে নেয়। কিন্তু তখন বলিউডের সেই গানের সুরে বেবি নাজনীনসহ কমপক্ষে ত্রিশজন শিল্পী গান করেছে। বেবি নাজনীনের ভাই এনাম সরকার। তখন আবার অন্য একটি দল ক্ষমতায় ছিল, তারা সেই দলের সমর্থক ছিল। মূলত সেই দলটিও ক্ষমতা থাকাও একটা ইস্যু। তখন সাউন্ডটেক থেকে আমার অ্যালবাম ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। আমার বাচ্চা হাসপাতালে তখন আমাকে গানের পারিশ্রমিকের চেক দেওয়া হয়, যেটা ভাঙাতে পেরেছি ১ বছর পর। আমি তো গানের চৌকিদার না। আমি তো ডাক্তার না যে ফ্রিতে চিকিৎসা করাব। এরকম ভাবে আমাকে টর্চার করা হয়েছে। কোনও কাজ করতে দেওয়া হয়নি, তখন বাধ্য হয়েই দেশ ছাড়তে হয়েছে। এসব কারণে আমি যা শিখেছি, তার কিছুই দেশের জন্য করতে পারিনি। দেশের সংগীতের জন্য কিছু করতে পারিনি, এটা ভাবলেই আমার কাছে খারাপ লাগে।  

বাংলানিউজ: বলা যায়, সিন্ডিকেটের কবলে পরেছিলেন। এখনও সিন্ডিকেটের কথা শোনায় যায়, এমন কিছু নিশ্চয়ই আপনিও শুনে থাকেন?
প্রীতম আহমেদ:
এসব করে যোগ্যতাহীন লোক। যেখানে শিল্পকর্মে পেশীর জোর দেখায় সেটা কখনোই সুস্থ স্বাভাবিক পরিবেশ না শিল্পচর্চার জন্য। আমাদের এখানে যখনই শিল্পীকে (সিনেমা, নাটক কিংবা গানের) বয়কট করা হয় আমি সেটাকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করি, প্রতিবাদ জানাই। সিন্ডিকেটের কথায় যদি আসি, একজন শিল্পী যদি আপনার কাছে গ্রহণযোগ্য মনে না হয় তাকে কাজে নিয়েন না। নেওয়ার পর আরেকজনের সেই কাজে নেওয়ার সুপারিশ পেয়ে বাদ দিয়েন না। কারণ ওই ব্যক্তি যখন কাজটি করতে আসেন তিনি অবশ্যই সংসারের চিন্তা নিয়েও আসেন। সে হয়তো আপনার অপ্রিয় কিন্তু তার সংসার আছে আপনি তার গলা চেপে ধইরেন না।  

বাংলানিউজ: সিঙ্গার-সং-রাইটার ট্রামসটা আমাদের এখানে সেভাবে প্রচলিত নয়। আপনি সেই কাজটি করে চলছেন, এ সম্পর্কে বলুন...
প্রীতম আহমেদ:
আমাদের সময়ে সিঙ্গার-সং-রাইটাররা ছিলেন না। আমিই দেশে মনে হয় একমাত্র মানুষ যে ২৫ বছর ধরে নিজের লেখা, সুর ও কম্পোজিশনে গান করছি। আমরা দেখতাম মুকুন্দ দাস (যাকে চারণ কবি বলেও অভিহিত করা হয়), যিনি নিজে লিখে সুর করে গাইতেন। আমার আগে মাকসুদ ভাইসহ অনেকে গেয়েছেন সেটা ব্যান্ডের হয়ে। তাদের বড় প্ল্যাটফর্ম ছিল। আমি গেয়ে যাচ্ছি এতিমের মত, কোনও প্ল্যাটফর্ম ছাড়া। নিজের জনপ্রিয়তার কারণে অনুষ্ঠান পেতাম। আমার সময়ে এই বাংলায় কেউ ছিল না। এ পর্যন্ত আমার নিজের এমন ১৩টি অ্যালবাম প্রকাশ হয়েছে।  

বাংলানিউজ: সিঙ্গার-সং-রাইটার ট্রামস-এর ভবিষৎ কেমন?
প্রীতম আহমেদ:
সভ্যতা, তাসরিফ, সানীসহ বেশ কয়েকজন তরুণ নিজের লেখা-সুরে গান গাইছে। এমন অনেকে আছে যারা নিজের লেখা-সুরে গান করে, এটা দেখে খুব আনন্দ হয়। এই ট্রামসটা যারা করে তাদের গানের সঙ্গে চিন্তা-চেতনা ফুঁটে ওঠে। একটা আদর্শ ও জীবনবোধ হিসেবে এটা বেছে নেয়। যারা নিজে লেখেন, সুর করেন এবং গায় আমি লাল সালাম জানাই তাদের। কারণ তারা লোভী না, যারা শুধু অর্থের জন্য অন্যের গান গাইতে বিনোদনের মাধ্যমটাকে বেছে নিয়েছে। সিঙ্গার-সং-রাইটারা টাকার জন্য যে যা বলে তাই গেয়ে চলে আসে না। একটা মানুষের আদর্শিক, ন্যায়-নীতি, ভাবনা আরেকটা মানুষের কণ্ঠে কখনও আসতে পারে না। তাই এখন যারা এই কাজটি করছে তারা অত্যন্ত সাহসী। এখন এমন মানুষ সমাজে সমাদৃত কিন্তু আমার সময়ে ছিল না। আমাকে অনেকেই আতেল বলতো, সিরিয়াস গান করায় কমার্শিয়াল অনুষ্ঠানে গাইতে নিত না। তারা ভাবতো হয়তো রাজনীতি, মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলব। যেখানে মানুষ আনন্দ-বিনোদন করতে যাচ্ছে নাচের গান শুনতে সেখানে হয়তো একটু থামিয়ে দিয়ে বলব ‘একটু ভাবুন’ এটা আয়োজকরা পছন্দ করতো না। তবে সেটা এখন হচ্ছে। আমি আহ্বান জানাব, এই সব মানুষদের আপনারা সাপোর্ট করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০২৩
এনএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।