ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ ভাদ্র ১৪৩১, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৮ সফর ১৪৪৬

বিনোদন

নাগরিক নাট্য সম্প্রদায় আয়োজনে ‘স্মৃতিতে স্মরণে আলী যাকের’

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০২৩
নাগরিক নাট্য সম্প্রদায় আয়োজনে ‘স্মৃতিতে স্মরণে আলী যাকের’

একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য অভিনেতা ও নির্দেশক আলী যাকের। যিনি নভেম্বর মাসেই পৃথিবীতে এসেছিলেন আর নভেম্বরেই পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে পরপারে চলে যান।

১৯৪৪ সালের ৬ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের রতনপুরে তার জন্ম হয়েছিল। আর ২০২০ সালের ২৭ নভেম্বর এক বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন পার করে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।  

প্রয়াত এই অভিনেতার জন্মদিন এবং প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে নাগরিক নাট্য সম্প্রদায় আয়োজন করছে ‘স্মৃতিতে স্মরণে আলী যাকের’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দলের সভাপতি আসাদুজ্জামান নূর ও সাধারণ সম্পাদক সারা যাকের।

জানা গেছে, আগামী ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর বেইলি রোডের বাংলাদেশ মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে ‘স্মৃতিতে স্মরণে আলী যাকের’ শীর্ষক অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, আমাদের প্রিয় বরেণ্য এই শিল্পীর জন্মদিন এবং প্রয়াণ দিবসকে কেন্দ্র করেই মূলত অনুষ্ঠানটি। এতে আমিসহ আরও বেশ কয়েকজন সম্মানিত অতিথি আলোচনায় অংশ নেবেন। আলোচনাপর্ব শেষে তার অভিনীত বিভিন্ন নাটকের অংশবিশেষ মঞ্চস্থ হওয়ার পাশাপাশি তার প্রিয় গান-কবিতার অংশবিশেষও কেউ গাইবেন, আবৃত্তি করবেন। নৃত্য পরিবেশনাও থাকবে। আশা করি- আমাদের আয়োজন ভালো লাগবে, সেই সঙ্গে যাকের ভাইয়ের প্রতি শ্রদ্ধাও প্রদর্শন করা হবে।

উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেই নাট্যচর্চা শুরু করেছিলেন আলী যাকের। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে আরণ্যকের ‘কবর’ নাটকে অভিনয় করেছিলেন তিনি। এরপর নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুক্ত হন এবং মৃত্যুর আগে এই নাট্যদলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে গেছেন।

মঞ্চে নূরলদীন, গ্যালিলিও ও দেওয়ান গাজীর চরিত্রে আলী যাকেরের অভিনয় এখনও দর্শক মনে রেখেছে। ‘বহুব্রীহি’, ‘তথাপি পাথর’, ‘আজ রবিবার’এর মতো টিভি নাটকে অভিনয় করেও তিনি প্রশংসা পেয়েছেন।

‘অচলায়তন’, ‘বাকী ইতিহাস’, ‘সৎ মানুষের খোঁজে’, ‘তৈল সংকট’, ‘এই নিষিদ্ধ পল্লীতে’, ‘কোপেনিকের ক্যাপ্টেন’সহ বেশ কয়েকটি মঞ্চ নাটকের নির্দেশনা দিয়েছেন আলী যাকের। বেতারে অর্ধশতাধিক শ্রুতি নাটকেও কাজ করেছেন। অভিনয়, নির্দেশনার বাইরে তিনি ছিলেন একজন নাট্যসংগঠক; পাশাপাশি যুক্ত ছিলেন লেখালেখির সঙ্গে।  

দীর্ঘ কর্মজীবনে সংস্কৃতি অঙ্গনে অবদানের জন্য ১৯৯৯ সালে সরকার তাকে একুশে পদকে ভূষিত করে। এছাড়া বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার, বঙ্গবন্ধু পুরস্কার, মুনীর চৌধুরী পদক, নরেন বিশ্বাস পদকসহ বিভিন্ন সম্মাননা পেয়েছেন আলী যাকের। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অন্যতম ট্রাস্টি আলী যাকের যুক্তরাজ্যের রয়্যাল ফটোগ্রাফিক সোসাইটিরও সদস্য ছিলেন।

আলী যাকেরের স্ত্রী সারা যাকেরও মঞ্চ আর টেলিভিশনের এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। তাদের বিয়ে হয় ১৯৭৭ সালে। তাদের দুই ছেলে-মেয়ে ইরেশ যাকের ও শ্রিয়া সর্বজয়াও অভিনয়শিল্পী।

বাংলাদেশ সময়: ১১২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০২৩
এনএটি/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।