ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

দুই বাংলার তিন প্রতিষ্ঠানের এক সিনেমা, নায়ক চঞ্চল চৌধুরী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০২৩
দুই বাংলার তিন প্রতিষ্ঠানের এক সিনেমা, নায়ক চঞ্চল চৌধুরী

বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় শুরু হতে চলেছে। দুই বাংলার চলচ্চিত্রের কোলাবোরেশান নিয়ে আলফা আই, চরকি ও ভারতীয় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসভিএফ ফিল্মস এবার এক হয়েছে।

এই তিন প্রতিষ্ঠানের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হতে যাচ্ছে বড় পর্দার দুটি সিনেমা।

শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে ওই সিনেমার একটির ঘোষণা দেওয়া হয়।  

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) আসবে আরেকটি সিনেমার ঘোষণা।

খানিকটা দম নিয়ে নির্মাণে ফিরছেন আলোচিত ও জনপ্রিয় নির্মাতা রেদওয়ান রনি। ‘দম’ শিরোনামে সেই সিনেমায় মূল ভূমিকায় দেখা যাবে সময়ের ও দুই বাংলার পরিচিত তারকা চঞ্চল চৌধুরীকে।  

বেশ খানিকটা বিরতির পর নির্মাণে ফেরা নিয়ে পরিচালক রেদওয়ান রনি বলেন, সত্য ঘটনা আমাকে সব সময়ই অনুপ্রাণিত করে। অনেক বছর পর চলচ্চিত্র নির্মাণের ক্ষুধা মেটানোর জন্য এই গল্পটাই আমাকে তাড়িত করছিল। সাধারণ মানুষের ভয়াবহ মানসিক শক্তি তাকে যেকোনো ভয়ংকর বিপদ থেকে বাঁচিয়ে তুলতে পারে নিমিষেই। দম চলচ্চিত্রে এই গল্পটাই বলার চেষ্টা করছি। সেই সঙ্গে এই কাজটির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দুই বাংলার সিনেমার কান্ডারি। এসভিএফ, আলফা ও চরকি সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।

সিনেমাটি নির্মাণে কেন সত্য ঘটনাকে বেছে নেওয়া এ প্রসঙ্গে তার ভাষ্য, মানুষ যখন সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েন তখন সে সবচেয়ে শক্তিশালী হয়ে থাকে। কেননা সে এই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে চায়। সেই ভাবনা থেকেই সিনেমাটির নাম ‘দম’।  

‘দম’ সিনেমার মূল চরিত্রে অভিনয় করবেন চঞ্চল চৌধুরী। পরিচালক রেদওয়ান রনির সঙ্গে তার সম্পর্কটা প্রায় ২০ বছরের কাছে। এমনটাই বলছিলেন অভিনেতা নিজে।

এই সিনেমায় অভিনয় নিয়ে তিনি বলেন, রনির সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কটা অনেক দিনের। সে একসময় নিয়মিত নির্মাণ করেছে। কিছুদিন নিজে নির্মাণ না করলেও নির্মাণ প্রক্রিয়ার মধ্যেই ছিল। এবারের সিনেমার গল্প যখন রনি আমাকে শুনিয়েছে তখন আমি হতবাক হয়েছি। অসাধারণ একটা গল্প। আমার চরিত্রটা বেশ চ্যালেঞ্জের। সেই সঙ্গে অনেক আয়োজন ও বিগ ক্যানভাসের সিনেমা ‌দম। অনেকটা ‌দম নিয়েই সিনেমাটির প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করতে যাচ্ছি।

এই অভিনেতা আরও বলেন, আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগছে একই সঙ্গে চরকি, এসভিএফ, আলফা’র মতো বড় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আমাদের এই সিনেমার সাথে আছে। এই সিনেমাটা দুই বাংলা মিলিয়ে নতুন কোনো দিগন্তের সূচনা করবে।

আলফা-আই স্টুডিওজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার শাকিল বলেন, আলফা-আই স্টুডিওস সবসময় বাংলাদেশের বিনোদন জগতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। একটি অগ্রগামী চিন্তার প্রোডাকশন হাউস, আমরা আগেই বুঝতে পেরেছিলাম যে বাঙালি দর্শক ভালো মানের কনটেন্ট দেখতে চায়। আমরা প্রতিবারই সেটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এবার আলফা, এসভিএফ এবং চরকির এক হয়েছি বাংলা চলচ্চিত্রের বাজারকে উন্নত করতে এবং বিশ্বব্যাপী দর্শকের কাছে পৌঁছাতে।

২৮ বছর ধরে যারা একাই বদল করে চলেছে বাংলা সিনেমার ইতিহাস! রেইনকোট, চোখের বালি, অটোগ্রাফ, ২২শে শ্রাবণ এর মতো অসংখ্য ফিল্ম দিয়ে যারা সমৃদ্ধ করেছে বাংলা ফিল্ম-এর ভাণ্ডার। বলছি কলকাতার এসভিএফ’র কথা।

এসভিএফ’র ডিরেক্টর ও কো-ফাউন্ডার মহেন্দ্র সোনি বলেন, চলচ্চিত্র নির্মাণে উদ্যোগী হয়ে বাংলাদেশের বিনোদন শিল্পের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে আরও গভীর করার জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিচ্ছে এসভিএফ। আমরা শুধু চলচ্চিত্র নির্মাণ করছি না; বাংলা সিনেমাকে উদযাপন করে আমরা একটি সম্প্রদায়, একটি সংস্কৃতিকে লালন করছি। আমাদের লক্ষ্য বাংলা ভাষার সিনেমাকে আন্তর্জাতিক মানে তৈরি করে বিশ্বের প্রতিটি কোণায় পৌঁছে দেওয়া।

এই সংবাদ সম্মেলনে চলচ্চিত্রটির একটি পোস্টারও উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা, পরিচালক সৈয়দ আহমেদ শাওকীসহ অনেকে।  

বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০২৩
এনএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।