গত চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে আলোচিত নাম অভিনেতা পীরজাদা শহীদুল হারুন। নির্বাচন নিয়ে তুমুল হই হট্টগোল, তর্ক-বিতর্ক, মামলা, আদালতে দৌড়ঝাঁপসহ সবকিছুই হয়েছে।
নির্বাচনের দিন নিপুণকে চুমু খেতে চেয়েছিলেন পীরজাদা প্রকাশ্যে এমন অভিযোগও তুলেছিলেন নিপুণ। নিপুণের দ্বারা নিষিদ্ধ হারুন এখন নিপুণের প্যানেলে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচন করছেন। ব্যক্তিত্বহীন সিদ্ধান্ত নেওয়ায় পীরজাদা শহীদুল হারুনকে ব্যক্তিগতভাবে বয়কট করার কথা জানালেন চিত্রনায়িকা আঞ্জুমান আরা শিল্পী।
‘প্রিয়জন’ সিনেমার এই নায়িকা বলেন, তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছিল তাতে করে তার মানসম্মান মাটিতে মিশে গেছে। সে কি করে এমন ব্যক্তিত্বহীন সিদ্ধান্ত নেয়। সে যদি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করতেন আমিসহ সবাই তাকে সমর্থন করতাম। তিনি সরকারি গুরুত্বপূর্ণ এক কর্মকর্তা। যার জন্য তার মানসম্মান গিয়েছে তার প্যানেলে যে, নির্বাচন করতে পারে আমি মনে করি সে ব্যক্তিত্বহীন। তার কাছে ভালো কিছু আশা করা যায় না।
যোগ করে ‘মুক্তি চাই’ সিনেমার শিল্পী বলেন, এমন লোক শিল্পীদের অভিভাবক হতে পারে না। কারণ তার দিয়ে সংগঠনের মঙ্গল হবে না। তাছাড়া বিগত দিনে তো সে শিল্পীদের পাশে ছিল না। কখনো শিল্পীদের খোঁজ নেয়নি। তাই আমি তাকে বয়কট করলাম। আমার মনে হয় সকল শিল্পীদের এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। সাধারণ ভোটারদের অনুরোধ করে বলব- বিগত দুই বছর অনেক কিছু দেখেও আপনারা চুপ ছিলেন। কিন্তু এবার আর নয়, আপনারা সজাগ দৃষ্টিতে সমিতির কল্যাণে কাজ করবে এমন যোগ্য প্রার্থী বেছে নিন।
শুধু পীরজাদা শহীদুল হারুন নয়, এক দুই সিনেমায় অতিথি চরিত্রে অভিনয় করে শিল্পী সমিতির সদস্য হয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধেও শিল্পীদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সোনালী দিনের এই নায়িকা।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন আগামী ১৯ এপ্রিল। এদিন এফডিসিতে বিরতিহীন ভাবে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবারের নির্বাচনে মিশা-ডিপজলের বিপরীতে মাহমুদ কলি-নিপুণ লড়ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২৪
এনএটি