একটা দৃশ্য শেষ করতে পাক্কা আড়াই ঘণ্টা! ভাবা যায়? তা-ও লম্বা দৃশ্য নয়। আউটডোরের ঝঞ্ঝাট নেই।
অথচ ওটাই দরকার। নাটকের শেষ দৃশ্য। আরও একশো গল্পের মতো এখানেও বিশ্বপ্রেমী নায়ক নিজের চোখ দিয়ে দিয়েছে অন্ধ প্রেমিকাকে। মেয়েটা জেনে ফেলেছে সব। ফিরে এসেছে। তারপর দু’জনের মধ্যে শুরু টিপিক্যাল সেন্টিমেন্টাল বাক্যালাপ। নায়িকা কেঁদে-কেটে অস্থির!
ওই ‘অস্থির’টাই হচ্ছে না। মিলির অতি আবেগ আগপিছ হয়ে যাচ্ছে। জায়গামতো পড়ছে না। প্রায়ই অর্ধেক সংলাপ বলে থেমে যাচ্ছেন। তবে আফরান নিশোর মতো সহ-অভিনেতা পাশে থাকলে এসব সমস্যা কিছুই না!
নিশো বিভিন্নভাবে মিলিকে আকাশ-পাতাল বুঝিয়েই যাচ্ছেন। এই পুরো সময়টায় এদিক-ওদিক লক্ষ রাখলেন সাজ্জাদ সুমন। ‘অ্যাকশন’ বলার অপেক্ষায় তিনি। ওইটুকুরও যেন দরকার ছিলো না!
মিলিকে বোঝাচ্ছেন নিশো, ‘পাগলের মতো কাঁদতে হবে। কান্না দেখে যেন দর্শক পাগল হয়ে যায়। টেক টাইম। ’ পরেরবার মিলি যেন একটু বেশিই সময় নিয়ে ফেললেন। খুব ধীরে ধীরে পা ফেলছেন, হাত নাড়ছেন, দৃষ্টি ঘোরাচ্ছেন। কাঁদলেন যদিওবা, তবে সেটা আর যা-ই হোক, পাগল করে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট নয়।
ক্যামেরার পেছনে বসে নিশো মনিটরের দিকে ওৎ পেতে ছিলেন। শটটা দেখলেন। তারপর বললেন, ‘বেশি করে গ্লিসারিন দাও মিলি। প্রেসার দিও না। এমনিতেই কান্না চলে আসবে। ’
কিন্তু চলে আসলো বৃষ্টি। ক্যামেরা গুটিয়ে পালানো ছাড়া এ সময় আর কোনো পথ খোলা নেই। সেটাই করতে হলো। বৃষ্টি থামার কোনো নামগন্ধ নেই বুঝে দৃশ্যটি অসমাপ্ত রেখেই নেমে যেতে হলো। এদিকে দিনের আলো শেষ হয়ে আসছে প্রায়। পরিচালকের চিন্তা বাড়ছে।
২৩ জুন শেষ বিকেলের ওই বৃষ্টি খুব তাড়াতাড়ি থামেনি। তবে থামেনি কাজও। গাড়ির মধ্যেই তারা পরের দৃশ্যেটি সেরে নিয়েছিলেন। নাটকের নাম ‘তবুও আকাশ নীল’। চিত্রনাট্য আহমেদ তাওকীরের।
বাংলাদেশ সময় : ০২৪১ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৫
কেবিএন