জিয়া খানের মৃত্যু রহস্যের জেরে ২০১৩ সালে সুরজ ও তার বাবা আদিত্য পাঞ্চোলিকে জেরা করেছিলেন পুলিশ। আবারও সুরজকে জেরা করার কথা ভাবছে সিবিআই।
প্রয়াত এই অভিনেত্রীর মৃত্যুর কারণ হিসেবে আত্মহত্যা থেকে এবার হত্যাকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন গোয়েন্দারা। সুরজকে আবারও জেরা করার সিদ্ধান্তের সঙ্গে নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছে জিয়া খান মৃত্যু রহস্য। এর আগে ১৩ মে আদিত্য পাঞ্চোলির বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। সেখানেও আদিত্য পাঞ্চোলি সিবিআইয়ের জেরার মুখে পড়েছিলেন।
২০১৩ সালের ৩ জুন জিয়া খানের মৃতদেহ তার ফ্ল্যাটে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিক তদন্তে মৃত্যুর কারণ আত্মহত্যা বলে ধারণা করেছিলেন পুলিশ। কিন্তু জিয়ার মা তার প্রতিবাদ করেন। তিনি জানান, অভিনেতা আদিত্য পাঞ্চোলির ছেলে সুরজের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল তার মেয়ের। আত্মহত্যা নয়, জিয়াকে হত্যা করা হয়েছে বলেই দাবি ছিলো তার।
২০১৪ সালে জিয়ার মা রাবিয়া খানের আবেদনের ভিত্তিতে মুম্বাই হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তের ভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
সিবিআই মুখপাত্র কাঞ্চন প্রসাদ জানান, মুম্বাই হাইকোর্টের নির্দেশে মৃত্যুর কারণ আত্মহত্যা না খুন, তা অনুসন্ধান করার দায়িত্ব পেয়েছে সিবিআই। আত্মহত্যার না হয়ে যদি এটি খুন প্রমাণিত হয় তাহলে পরবর্তী পর্যায়ের তার তদন্ত করার নির্দেশও দিয়েছে আদালত। মৃত্যুর জন্য দায়ী ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে প্রয়োজনীয় তদন্ত চালানোর আগাম নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৫
বিএসকে/কেবিএন