ঢাকা শহরে বায়োস্কোপ! প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল থেকেও যে জিনিসটি এখন বিলুপ্ত প্রায়, সেটি এই শহর ঢাকায় হঠাৎ চোখে পড়ে গেলে বিস্ময় চিহ্নই বসে যাওয়ার কথা। বায়োস্কোপওয়ালার সেই চেনা হাসিমুখ।
পাশ কাটিয়ে, দু’পাশে উঁচু কাশবনের আড়াল নিয়ে, যে রাস্তাটা সরু হয়ে চলে গেছে দূরে; সেদিকে একটু হাঁটলেই ‘তেল-জল’। যারা ভাবছেন তেলের পাম্প কিংবা শান্ত দিঘী, শুরুতেই সাবধান! ওসব কিছু নয়। এই তেল-জলের গল্প মানে একদল তরুণ, ক্যামেরা, দিনভর পরিশ্রম, একটি প্রেমের পরিণতি আর আফরান নিশো-জাকিয়া বারী মম। তারা প্রত্যেকেই বলে চলেছেন ‘তেল ও জলের গল্প’।
জাকারিয়া সৌখিন এতোদিন পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লিখেই গেছেন। তার কাহিনী, সংলাপ নাটক হয়ে উঠেছে। এখানেও ওই একই ব্যাপার। তবে খানিকটা পার্থক্য তো আছেই। তিনি এখানে নাট্যকার অবশ্যই, পরিচালকও। সৌখিন মনিটরের সামনে, ক্যামেরার সামনে পাশাপাশি বসে নিশো ও মম।
নিশোর ঢিলা পাজামা, হ্যাট, ধূসর টি-শার্ট, ওপরে কোট। প্রেমের স্বচ্ছ জলে অনেকক্ষণ সাঁতরে হঠাৎ তীরে উঠে আসা যুবতী মম। শিশির ভেজা আধফোটা টিউলিপ যেন! চিত্রনাট্যে নজর বুলিয়ে জানা গেলো, আসলেই টিউলিপ তিনি। অভিনয় করছেন এ চরিত্রে।
নাটকের দৃশ্যে উঁকি দেওয়া যাক। দু’জন কিছুক্ষণ বসে থাকার পর, নিশো উঠে আসলেন হঠাৎ। মমও পাশাপাশি। নিশোর ঠোঁট থেকে সিগারেট কেড়ে নিয়ে ফেলে দিলেন। নিশোর হাঁটার গতি দ্রুত, খানিকটা এলোমেলো। দাঁড়িয়ে পড়লেন মম। বললেন, ‘আমি খাঁচা নই, পাখি। তোমার খাঁচায় বন্দি হতে চাই’। এটুকুই সংলাপ। কিন্তু কতো আবেগ, অনুভূতি, রাত জাগা, কান্নার ইতিহাস মেশানো ওতে! মমর ঠোঁটে সংলাপগুলো জীবন্ত হয়ে উঠলো আরও।
দূরে তখনও অলস বসে আছেন বায়োস্কোপওয়ালা আর তার বায়োস্কোপ। এ নাটকে তারাও হয়ে উঠবে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। ‘তেল ও জলের গল্প’ প্রচার হবে এবারের ঈদে, বাংলাভিশনে।
বাংলাদেশ সময় : ০৩২২ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১৫
কেবিএন