‘আইলাম আর গেলাম/পাইলাম আর খাইলাম/ভবে দেখলাম শুনলাম/কিছুই বুঝলাম না। ’ ‘আমি কি তোর আপন ছিলাম নারে জরিনা/ছোট্টকালে গাছতলাতে/পুতুলখেলার ছলনাতে/আম কুড়াতে যাইতাম দুইজনা নারে জরিনা’- এমন কিছু লোকজ গানের প্রবাদ পুরুষ কুটি মুনসুর এখন হাসপাতালে।
কুটি মুনসুর একাধারে গায়ক, গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক। তার গান আবহমান বাংলা গানকে সমৃদ্ধ করেছে। বর্ষীয়ান এই শিল্পীর লেখা এবং সুরে গান গেয়েছেন দেশবরেণ্য প্রায় সব শিল্পী। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমিন, রথীন্দ্রনাথ রায়, নীনা হামিদ প্রমুখ।
নিভৃতচারী এই গুণী মানুষটি ১৯২৬ সালে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন থানার লোহারটেক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে রাজধানীর বনশ্রী এলাকার ই ব্লকে ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন। এখন আর কেউ তার খোঁজখবর রাখেন না। ৮৯ বছর বয়সী অভিমানী এই মানুষটির দিন কাটছে অনেকটা নিভৃতে। এ নিয়ে কারও কাছে তার কোনো অভিযোগ নেই। কিন্তু শরীর তো আর তার নিয়ন্ত্রণে নেই। বয়স যে হয়েছে ঢের।
কুটি মুনসুরের জামাতা শাহাবুদ্দিন দোলন বাংলানিউজকে জানান, দেশের বাংলা গানের জন্য তিনি যে এতো অবদান রেখেছেন, সেটা বর্তমান প্রজন্মের অনেকই জানেন না। সরকার বিভিন্ন সময় নানাজনকে পুরস্কার-সম্মাননা জানালেও এই গুণীর কোনো খবরই রাখে না। তিনি সবার কাছে শিল্পীর জন্য দোয়া চেয়েছেন।
বাংলাদেশ সময় : ১৭০৫ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৫
জেএইচ