‘অসাধারণ গল্প, চমৎকার চিত্রনাট্য। হৃদয়ছোঁয়া সংলাপ।
সালমানের আয়োজনে গত ১৮ জুলাই ঈদের দিন মুম্বাইয়ের লাইটবক্স প্রেক্ষাগৃহে ছবিটির বিশেষ প্রদর্শনী উপভোগ করেন আমির। বন্ধুর অভিনয় দেখে চোখে জল এসে গিয়েছিলো তার। প্রদর্শনী শেষে সাংবাদিকদের সামনে এসে কথাও বলেন তিনি। পরিচালকের প্রশংসা করে আমির বলেন, ‘কবির খান সত্যিই দারুণ ছবি বানিয়েছেন! ছবিটা প্রত্যেকেরই দেখা উচিত। ছোট্ট মেয়েটিও (হারশালি মালহোত্রা) খুবই ভালো করেছে। ও সবার মন কেড়ে নেবে অনায়াসে!’
আমিরের সঙ্গে তার মেয়ে ইরাও এসেছিলেন। প্রেক্ষাগৃহ থেকে বের হওয়ার সময় তার চোখেও জল দেখা যায়। এক মূক পাকস্তানি শিশুকে তার দেশে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিয়ে আসার দায়িত্ব নেয় ভগবান হনুমানের এক ভক্ত। অভিনয়ের পাশাপাশি এটি সহ-প্রযোজনাও করেছেন সালমান। এতে তার সহশিল্পী কারিনা কাপুর খান ও নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকী।
এর আগে নিজের টুইটার ওয়ালে ‘বজরঙ্গি ভাইজান’-এর পোস্টার রেখে এর প্রচারণা করেন শাহরুখ। এবার প্রশংসায় টুইটারের পেজ ভরিয়ে দিলেন আমির। ১৯৯৪ সালে ‘আন্দাজ আপনা আপনা’ ছবিতে একসঙ্গে অভিনয় করার পর থেকে এই দুই খানের সম্পর্ক বেশ মধুর।
জানা গেছে, সারাভারতেই ছবিটি দেখে দর্শকরা মুগ্ধ আর আবেগাপ্লুত। বেশিরভাগ প্রেক্ষাগৃহ থেকে বেরিয়ে আসা দর্শকদের মুখে হাসি আর চোখে জল দেখা যাচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, ‘বজরঙ্গি ভাইজান’-এর মাধ্যমে সালমান জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতবেন। এই ইতিবাচক সাড়া পেয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ দেখার আহ্বান জানিয়েছেন সালমান। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘শ্রদ্ধার সঙ্গে অনুরোধ করছি, ভারত-পাক নেতারা ছবিটি দেখলে খুশি হবো। কারণ শিশুদের জন্য ভালোবাসা কোনো সীমান্ত মানে না। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৫
বিএসকে/জেএইচ