যেনো সারা বছর কিচ্ছু পড়া হয়নি। রাত পেরুলেই পরীক্ষা।
না, প্রভার অবশ্য চুলও এলোমেলো হয়নি, আর চোখের নিচে কালি পড়ার তো প্রশ্নই নেই। প্রভা বরং দিন দিন আরও উজ্জ্বল হচ্ছেন। নাজনীন হাসান চুমকী সে কথাই বলছিলেন গল্পে গল্পে, ‘দেখেছো, ওকে আজ কী সুন্দর লাগছে! মনে হচ্ছে একটা পুতুল। ’ প্রভা অবশ্য এ সব কথা শোনেননি।
তিনি সারাক্ষণ চিত্রনাট্যে চোখ ডুবিয়ে। মেকাপরুমে বসে, লাঞ্চ ব্রেকেও; এমনকি মুখের সামনে যখন ক্যামেরা, ফ্রেম ঠিক করা হচ্ছে, মনিটর দেখে নেওয়া হচ্ছে; তখনও বিড়বিড় করে চলেছে তার ঠোঁট জোড়া। সংলাপ মুখস্ত করছেন। কী পড়ুয়া রে বাবা!
‘পড়তে হচ্ছে কি আর সাধে!’ প্রভার উত্তর। সংলাপ মুখস্ত রাখতে খবর হয়ে যাচ্ছে এক প্রকার। অর্থনৈতিক মন্দা, ব্রিটিশ শাসনামলের ব্যয় সংকোচন নীতি, দু’টো বিশ্বযুদ্ধ, লর্ড কেইনস- কতো প্রেক্ষাপট উঠে এসেছে সংলাপে! পিরিয়ড ড্রামা নাকি? ‘না, সেটা নয়’- উত্তরটা কেউ দেয় না। কিন্তু সেট দেখে সেটা বুঝতেই পারি।
একপাশে পড়ে আছে ‘রুসি আহমেদ মেমোরিয়াল স্টুডেন্ট হোস্টেল’ লেখা সাইনবোর্ড। ওটা এখন কোনো কাজে লাগছে না। পরে লাগবে। যে ঘরে দৃশ্যধারণ হচ্ছে, ওটার প্রবেশমুখে লেখা ‘ডিপার্টমেন্ট অব ইকোনমিক্স’। একটা এল-সাইজের বড়সড় টেবিল, ওপরে ল্যাপটপ, একগাদা বই। ঘরটা বেশ ঝকঝকে।
অর্থনীতির ব্যাপার স্যাপার, বিশ্ববিদ্যালয়ের। ‘প্রভা ছাত্রী, আর শহীদুজ্জামান সেলিম অধ্যাপক’ -উত্তর আলভী আহমেদের। তিনি নতুন ধারাবাহিক বানাচ্ছেন। প্রথম দিনের শুটিংয়ে এরা ছাড়া আরও দু’জন ছিলেন রাইসুল ইসলাম আসাদ ও মনিরা ইউসুফ মেমী।
ধারাবাহিকের নাম ‘নষ্টনীড়’। ‘নামটা বদলে দেবো’, বললেন আলভী, ‘একে তো মানুষ নাটক খুব একটা দেখে না। তার ওপর নামটা বেশ জটিল। একটা সহজ সরল নাম ভাবতে হবে। ’ ভাবাভাবি এখনও হয়নি। আপাতত দৃশ্যধারণেই মনোযোগ। চিত্রনাট্য লিখছেন অরুপশংকর মিত্র। ধারাবাহিকটি প্রচার হবে এটিএন বাংলায়।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩২ ঘন্টা, জুলাই ২৭, ২০১৫
কেবিএন/