সপ্তাহ দুয়েক আগে ব্যাংকক থেকে দেশে ফেরেন গুণী সুরকার, সংগীত পরিচালক ও মুক্তিযোদ্ধা লাকী আখান্দ। ফুসফুসে ক্যান্সার আক্রান্ত এই শিল্পীকে দ্বিতীয় পর্যায়ের চিকিৎসার জন্য আবার সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে।
পারিবারিক সূত্র জানায়, কিছুদিন আগে ব্যাংককের হাসপাতালে লাকীর ফুসফুসে সফল অস্ত্রোপচার হয়। কেমোথেরাপি শুরু হতে কয়েকদিন দেরি থাকায় দেশে নিয়ে আসা হয় তাকে। অন্যদিকে ছোট সন্তানকে (মাম্মিন্তির ছোট ভাই) দেখার জন্য অস্থির হয়ে পড়েছিলেন বাবা।
লাকী আখান্দের শারীরিক অবস্থা এখন কিছুটা উন্নতির দিকে। চিকিৎসকরা জানান, আগামী ছয় মাসে ছয়টা কেমোথেরাপি নিতে হবে লাকীকে। এর মধ্যে আবারও দেশে আসার সুযোগ থাকছে তার।
লাকী আখান্দ অনেক জনপ্রিয় গানের সুরস্রষ্ঠা। তার তৈরি করা গানগুলোর যথার্থ সম্মানি পাওয়া গেলে গুণী এই মানুষটির চিকিৎসা খরচ নির্বাহ সহজ হতো বলে মনে করেন অনেকে। এই লক্ষ্যে লাকীর স্বজনরা উদ্যোগ নিয়েছেন বলেও জানা গেছে।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ১ সেপ্টেম্বর ভর্তি করা হয়েছিল লাকীকে। সপ্তাহখানেক পর তার ফুসফুসে ক্যান্সার ধরা পড়ে। ১০ সেপ্টেম্বর রাতের ফ্লাইটে তাকে থাইল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হয়।
লাকী আখান্দ বেশকিছু কালজয়ী গানের সুর করেছেন, গেয়েছেনও। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- ‘আমায় ডেকো না, ‘এই নীল মনিহার, ‘কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে’, ‘যেখানে সীমান্ত তোমার, ‘মামুনিয়া, ‘লিখতে পারি না কোনো গান, ‘ভালোবেসে চলে যেওনা, ‘বিতৃঞ্চা জীবনে আমার, ‘ কি করে বললে তুমি, ‘এত দূরে যে চলে গেছো’ প্রভৃতি।
* নিভৃতে দেশে ফিরেছেন লাকী আখান্দ!
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৫
এসও/জেএইচ