ধর্মেন্দ্র সিংয়ের ভিটেয় আমির খান। বলিউডের ‘হি-ম্যান’ কিন্তু সে কথা জানতেন না।
একটু বিস্তারিতভাবেই বলা যাক। কুস্তির আখড়ার শুটিং-এর জন্য গ্রামে গ্রামে ঘুরছিল ‘দঙ্গল’-এর গবেষক দল। শেষ পর্যন্ত পছন্দ হল লুধিয়ানার গ্রাম দাঙ্গো। দাঙ্গোয় শুটিংয়ে যাওয়ার আগেই পরিচিত একজনের থেকে জানতে পারেন, যে গ্রামে শুটিং হতে চলেছে, সেখানেই ধর্মেন্দ্রর পূর্বপুরুষের ভিটেমাটি। একথা জানার পর সোজা ধরমজিকে ফোন করেন আমির। নিজে যে বিষয়টা নিয়ে কতটা উত্তেজিত, তা জানিয়ে দেন ধর্মেন্দ্রকে। নিজে প্রচুর ছবিতে কাজ করেছেন, তার ছেলেরাও প্রচুর ছবিতে কাজ করেছেন, পারিবারিকভাবে প্রযোজনাও করা হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত নিজের পৈতৃক বাড়িকে ছবিতে দেখানোর কোনও সুযোগই পাননি তারা কেউ।
যে গ্রামের সঙ্গে নাড়ির যোগ রয়েছে বলিউডের বেশ কয়েক জন সুপারস্টারের, তারা কেউ নন, শেষ পর্যন্ত তাদের আগে অন্য কেউ সেই গ্রামকে পর্দায় নিয়ে আসছেন, এ খবর জানতে পেরে রীতিমতো খুশি হয়েছেন ধর্মেন্দ্র। তিনি ‘দঙ্গল’-এর শুভেচ্ছা কামনা করেন আমিরের কাছে। এরপরও আমিরের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ গল্প করেন তিনি। খুঁটিয়ে জানতে চান ‘দঙ্গল’-এর কাহিনি। কুস্তি নিয়ে গল্প- এটা নাকি ধরমজিকে রীতিমতো বিস্মিত করেছে। একসময় বলিউডের ‘হি-ম্যান’ নামে পরিচিত, বলিউডে অ্যাকশনের অন্যতম প্রণেতা যে অ্যাকশন রিয়্যালিটির গল্প শুনে উত্তেজিত হবেন, তা তো স্বাভাবিক। আর তাই আমিরও জানান, ছবিটি শেষ হলেই বিশেষ স্ক্রিনিং হবে ধর্মেন্দ্রর জন্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৫
বিএসকে/এসও