কলকাতার হাস্যরসাত্মক ছবি ‘কেলোর কীর্তি’ মুক্তির প্রেক্ষিতে ক্ষোভ বিরাজ করছে চলচ্চিত্র অঙ্গনে। শুক্রবার (২৯ জুলাই) ছবি মুক্তির প্রতিবাদে প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা।
তরুণ চলচ্চিত্র পরিচালক বুলবুল বিশ্বাস ফেসবুকে ব্যঙ্গ করে লিখেছেন, “স্পষ্ট করে বলে দিচ্ছি, আমাদের ইন্ডাস্ট্রির মুখ কালা করবি, আসম্ভব। কাল (শুক্রবার) আমরা কেউ হলে না গিয়ে তোদের মুখে কালি মাখিয়ে দেবো। ওসব ‘কালার কীর্তি’ করা এখানে চলবে না। ”
চিত্রনাট্যকার আব্দুল্লাহ জহির বাবু ফেসবুকে লিখেছেন, “আচ্ছা কেলো মানে কি? যারা ‘কেলোর কীর্তি’ ঢাকায় চালাচ্ছেন তারা পত্রিকার মাধ্যমে জানিয়েছেন যে কেলো মানে বেড়াল। তাই? সিনেমাহলে কি সেটা দর্শকের কানে কানে বলবেন? কো প্রোডাকশনের ছবি মানতে পারি, তাই বলে ‘কেলোর কীর্তি’? ভারতের পশ্চিমবঙ্গের টাকায় তাদের মার্কেটের জন্য বানানো ছবি এদেশে মুক্তির অনুমতি দিয়ে দিলো আমাদের সুপ্রীম কোর্ট? আমি যতোদূর জানি আমদানি-রপ্তানী নীতিমালার অনেকগুলো শর্ত পূরণ না করার পরও ‘কেলোর কীর্তি’ ঢাকায় মুক্তি পাচ্ছে। কিন্তু কেন? যতোদূর বুঝি, সরকারের ওপরের মহলের হস্তক্ষেপ ছাড়া এভাবে ভারতীয় ছায়াছবি এখানে মুক্তি দেবার কথা নয়। কিন্তু তাতে বাংলাদেশে কার লাভ? কয়েকজন বুকিং এজেন্টের?”
চিত্রনাট্যকার মেজবাহউদ্দিন সুমন ফেসবুকে ছবিটি বর্জনের আহবান জানিয়ে লিখেছেন, “চলো সবাই
কেলোর কীর্তিকে কলা দেখাই, হলে না গিয়ে। ”
কোনো প্রকার প্রচারণা ছাড়াই মুক্তি পেলো ‘কেলোর কীর্তি’ ছবিটি। আমদানিকারক আরাধনা এন্টারপ্রাইজের পক্ষে কার্তিক দে জানান, ৬০টি হলে ছবিটি মুক্তি দেওয়া হয়েছে। অন্য সূত্র বলছে, হলের সংখ্যা ৬০ নয়, ৪০। প্রথম দিন মোটামুটি দর্শক টানতে পারছে এটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৬
এসও