বিরতির পর আবারো মঞ্চে আসছে বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক শওকত ওসমানের গল্প অবলম্বনে নাটক ‘বাঁধ’। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এ নাটকের নাট্যরূপ ও নির্দেশনা দিয়েছেন মোহাম্মদ বারী।
‘বাঁধ’-এর নির্দেশক মোহাম্মদ বারী বলেছেন, ‘বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি দেশব্যাপী সাহিত্য-নির্ভর নাট্য রচনা ও নির্মাণের আয়োজন করে। এ কর্মসূচির আওতায় ২০১৪ সালের ১১ জুলাই নাটকটি মঞ্চে আসে। মাত্র দুটি প্রদর্শনী হয়েছিলো নাটকটির। আশা করছি এখন থেকে নিয়মিত মঞ্চে থাকবে এটি। ’
নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন তৌফিকুল ইসলাম ইমন, সাইফ সুমন, এ কে আজাদ সেতু, শাকিল সিদ্বার্থ, এহসানুর রহমান, বাকার বকুল, মোহাম্মদ বারী, হাসনাত রিপন, এজাজ বারী, শফিকুল ইসলাম, কাজী রাকিব, ম. সাঈদ, মেরিনা মিতু, রফিকুল ইসলাম, কান্তা জামান, এইচ এম মোতালেব, মিন্টু সর্দার, শাহরিয়ার সোহাগ, মাহফুজ সুমন, বিপাশা মণ্ডল, মাহিয়া নূর প্রমুখ।
নাটকের গল্পে দেখা যাবে, নদীবর্তী প্রান্তিক এক জনপদ নিয়ামতনগর। গ্রামের দুই জনগোষ্ঠী উত্তরপাড়া ও দক্ষিণপাড়া পরস্পরের আজন্ম শত্রু। এক মধ্যরাতে প্রলয়ংকরী আকস্মিক বন্যায় ভেসে যাওয়া নিয়ামতনগরের গৃহস্থ নারী-পুরুষ-শিশু-বৃদ্ধ আশ্রয় নেয় জেলাবোর্ডের ভঙুর বাঁধে। এ বাঁধেও বিভক্তি রেখা টেনে উত্তরপাড়ার মানুষ আশ্রয় নেয় বাঁধের উত্তর অংশে আর দক্ষিণপাড়ার মানুষ দক্ষিণ অংশে। বাঁধের ক্রমাগত ভাঙনের ফলে একসময় সকলে এক জায়গায় আশ্রয় নেয়। চরম সংকটকালেও প্রতিহিংসা তাদের পিছু ছাড়েনা। উত্তর-দক্ষিণের মারামারি-হানাহানি-কাটাকাটিতে প্রায় নরক হয়ে ওঠে বাঁধের জনপদ। এরই মধ্যে পানির প্রবল তোড়ে পুরো বাঁধ ভেঙে যখন সম্পূর্ণ বিলীন হওয়ার উপক্রম, তখনও বোধোদয় ঘটে না অনেকের। অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যায় তবু অন্তঃসারহীন বিরোধের মীমাংসা ঘটে না। অবশেষে মহাপ্লাবনে ভেসে যাওয়া পিঁপড়ার দল থেকে তারা শিক্ষা নেয় যে, ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই।
নাটকটির মঞ্চ ও প্রকাশনা ডিজাইন করেছেন শাহীনুর রহমান, কোরিওগ্রাফি করছেন বাকার বকুল, সংগীত পরিকল্পনায় রিফাত আহমেদ নোবেল, আলোক পরিকল্পনা করছেন অম্লান বিশ্বাস, পোশাক পরিকল্পনা করছেন এনাম তারা সাকী। প্রযোজনা অধিকর্তা এজাজ বারী।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৪ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৬
এসও