রাজনৈতিক ও সামাজিক বহু ঐতিহাসিক ঘটনার নীরব সাক্ষী হয়ে আছে বুড়িগঙ্গা নদী। এর বাঁকে বাঁকে রাজধানী ঢাকার বেড়ে ওঠা এবং নবাব সিরাজউদ্দৌলার আমলে অনেকের নদীপথে যাতায়াতে অনেক বেদনাদায়ক ঘটনাও ঘটেছে।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ থিয়েটার হলে পালাটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন করবে দেশ অপেরা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক নাট্যজন লিয়াকত আলী লাকী। রাজনীতিক ও সাহিত্যিক হায়দার আকবর খান রনো’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি থাকবেন বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আকতারুজ্জামান।
পালাটি লিখেছেন আমিনুর রহমান সুলতান, নির্দেশনায় যাত্রানট মিলন কান্তি দে। পলাশীর বিয়োগাত্মক পরিণতির পর ইংরেজদের বিরুদ্ধে সন্ন্যাসী, ফকির ও মসলিন-তাঁত সম্প্রদায়ের বিক্ষোভ ও বিদ্রোহ একাধিক চরিত্রাঙ্কনে প্রতীকী ব্যঞ্জনায় এ পালায় তুলে ধরা হয়েছে।
বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন এম আলীম, মোঃ রফিক, মঞ্জুরুল আলম লাবলু, এম সিরাজ, শাহ্ মোহাম্মদ আলী, অলিউল্লাহ অলি, সুদর্শন চক্রবর্তী, রফিকুল ইসলাম, আবুল হাসেম, এম হাসেম, এম আলম, সংকর সরকার, রহিম, মোজাম্মেল হক, ইদ্রিস, আলমার্স, লুৎফুন নাহার, রিক্তা সুলতানা, মনিমালা, আরিশা জামান, আলতাফ হোসেন এবং মিলন কান্তি দে। শংকর সরকারের সংগীত পরিচালনায় পায় বাদ্যযন্ত্রে থাকছেন গোকুল ঘোষ, পার্থ ভজন, গুরুদাস ও খালেক এবং রূপসজ্জায় থাকছেন নয়ন শেখ।
২০১৩ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি থেকে নিবন্ধিত হয় দেশ অপেরা। ‘গঙ্গা থেকে বুড়িগঙ্গা’, ‘সতী করুণাময়ী’, ‘দাতা হাতেম তা’য়ী’, ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’, ‘বর্গী এলো দেশে’, ‘বাংলার মহানায়ক’, ‘মাস্টারদা সূর্যসেন’ প্রভৃতি যাত্রাপালার সফল মঞ্চায়ন করেছে দলটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০১৬
জেএইচ