ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

লাকী আখন্দ নাকি আখান্দ? 

সোমেশ্বর অলি, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৬
লাকী আখন্দ নাকি আখান্দ?  লাকী আখান্দ, ছবি-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কিংবদন্তিতুল্য সংগীতশিল্পী তিনি। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে আলোচনায় এসেছেন হৃদয়ছোঁয়া সুর ও গায়কীর সুবাদে।

দিনে দিনে তার সৃষ্ট গান করেছে কালজয়। এখন দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে শয্যাশায়ী বিশিষ্ট এই গায়ক, সুরকার ও মুক্তিযোদ্ধা। তিনি লাকী আখান্দ। জনপ্রিয় এই শিল্পীর নামের বানান নিয়ে শুরু হয়েছে বিভ্রান্তি। কেউ বলছেন আখান্দ, কেউ বলছেন আখন্দ। আসলে কোনটি ঠিক?

আলোচিত শিল্পী লাকীকে নিয়ে বাংলানিউজে এ পর্যন্ত যতো প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সবখানে তার নামের বানান লেখা হয়েছে ‘আখান্দ’।  পারিবারিক সূত্র থেকে জেনেই এই বানান অনুসরণ করা হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে অন্য সংবাদমাধ্যমগুলোতেও। আগে ‘আখন্দ’ লিখলেও এখন অনেকেই ‘আখান্দ’ লিখছেন। আবার কেউ কেউ রয়ে গেছেন ‘আখন্দ’-এ। গণমাধ্যম ও সংগীতাঙ্গনে এ নিয়ে একটা বিভ্রান্তি রয়েই যাচ্ছে। এ অবস্থায় বাংলানিউজ যোগাযোগ করে লাকী ও তার পরিবারের সঙ্গে।

বুধবার (১৭ আগস্ট) লাকীর কন্যা মাম্মিন্তি নূর আখান্দ বলেন, “বাবা নিজের নামের শেষে ‘আখান্দ’ ব্যবহার করেন। ইংরেজিতে বানানটি হবে Akhandh। অনেকে না জেনে ‘আখন্দ’ লিখছেন বা বলছেন। আমরা চাই বাবার শুদ্ধ নামটিই উঠে আসুক সবখানে। ”

জানা গেছে, লাকী আখান্দের পূর্বপূরুষ পার্সিয়ান। তাদের পদবী আখান্দজাদে। আখান্দজাদেরই সংক্ষিপ্ত রূপ ‘আখান্দ’। লাকী সেটাই ব্যবহার করছেন তার নামের সঙ্গে। এমনকি তিনি আখান্দের শেষে হসন্ত বা হলন্ত  ব্যবহারের পক্ষে।  

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, লাকীর গাওয়া ও সুর করা বিভিন্ন অ্যালবামের প্রচ্ছদেও নামের বানান নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে। কোথাও ‘আখন্দ’ তো, কোথাও ‘আখান্দ’। এ নিয়ে মাম্মিন্তি জানান, আগের ভুলগুলোও অসতর্কাবশত হয়েছে।  

এদিকে লাকী আখান্দের চিকিৎসা সহায়তায় ‘দ্য ট্রিবিউট টু স্যার লাকী আখান্দ’ শীর্ষক দুই দিনের কনসার্ট শুরু হয়েছে মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট)। আজ এর দ্বিতীয় ও শেষ দিন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে এর আয়োজন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যান্ড সোসাইটি। এতে অংশ নিচ্ছে ৩০টি ব্যান্ড।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৬
এসও/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।