প্রভা-নাঈম, আফরান নিশো-তানজিকা আমিন ও ঊর্মিলা-ইরফান সাজ্জাদ- এই তিন জুটিকে নিয়ে তৈরি হয়েছে টেলিভিশন ফিকশন ‘ভালোবাসার গল্পসমগ্র’। তিনটি পৃথক ভালোবাসার গল্প তুলে ধরা হবে এতে।
প্রতিবন্ধী ও যন্ত্রশিল্পীর প্রেম
যে মেয়েটির সময় কাটতো পশুপাখির সঙ্গে। সেই মেয়েটি হঠাৎই সুরের মূর্ছনায় কাবু হতে থাকে। কেননা তার পাশের ঘর থেকে ভেসে আসে বাদ্যির সুর। একধরনের অভ্যস্ততা তৈরি হয় সেই সুরের প্রতি। এতে বুঁদ হয়ে থাকে সারা (সাদিয়া জাহান প্রভা)। সারার বাসার ভাড়াটিয়া অর্ক (নাঈম) পেশায় যন্ত্রশিল্পী। এদিকে প্রতিদিনই লুকিয়ে অর্কর বাজানো দেখে সারা। একদিন অর্কর অনুপস্থিতিতে ওর ঘরে গিয়ে পিয়ানো, স্যাক্সোফোন, বেহালা প্রভৃতি বাদ্যযন্ত্রগুলো বাজাতে চেষ্টা করে সারা। অর্ক বুঝতে পারে মেয়েটি সুর পছন্দ করে। সে তাকে নতুন নতুন সুর শোনাতে শুরু করে। এক সময় প্রতিবন্ধী সারার প্রেমে পড়ে যায় অর্ক। ভালোবাসা ও সুরের জাদুতে সারা ধীরে ধীরে সুস্থ হতে শুরু করে। এমন কাহিনি থাকছে ‘হোয়াইট’ নামের নাটকটিতে।
নায়িকার প্রেমে রূপসজ্জাকর
চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা সবিতা (তানজিকা আমিন)। স্বনামধন্য মেকআপ আর্টিস্ট (রূপসজ্জাকর) চ্যান (আফরান নিশো)। কাজের খাতিরেই তার সঙ্গে সবিতার বেশ বন্ধুত্ব। সহজে সবিতার সিডিউল পেতে হলে চ্যানের স্মরণাপন্ন হন পরিচালকেরা । একসময় তাদের সম্পর্ক গড়ায় ভালোবাসার দিকে। সবিতা ভাবতে শুরু করে, চ্যানের মনটা সুন্দর বলেই সে মানুষকে এতো সুন্দর করে সাজাতে পারে। ‘প্রতিনায়ক’-এর গল্প এগিয়েছে এভাবেই।
একটি যান্ত্রিক সংসার
ভালোবেসে বিয়ে করে ওরা। মিনহাজ (ইরফান সাজ্জাদ) ও মুনিয়া (ঊর্মিলা শ্রাবস্তী কর) প্রতিজ্ঞা করে কখনও তারা নিজেদেরকে ভুল বুঝবে না। একসঙ্গে কাটাবে প্রতিটি মুহূর্ত। কিন্তু কালের পরিক্রমায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে মিনহাজ। শহরের যান্ত্রিকতায় ফিকে হতে থাকে ওদের ভালোবাসা। এদিকে একাকিত্বকে সঙ্গী করে ঘরে বসেই সময় কাটে মুনিয়ার। একসময় মিনহাজের ওপর রাগ করে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। পরে মিনহাজ প্রতিজ্ঞা করে যে, হাজারও ব্যস্ততার মধ্যেও সে মুনিয়াকে পাশে রাখবে। এমনই বাস্তবতার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে ‘বৃষ্টির রঙ’ নাটকে।
নির্মাতা মাহমুদ দিদার জানান, আসছে ঈদে ‘ভালোবাসার গল্পসমগ্র’ এনটিভির পর্দায় প্রচার হবে। প্রতিটি নাটকের দৈর্ঘ্য ২৫ মিনিট। তার মতে, এগুলো নাটক নয়, টেলিছবি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৬
জেএমএস/এসও