হিমেল, নিউটন ও ইকবাল ছোটবেলার বন্ধু। হিমেলের মাথা থেকে কোথাও ঘুরে আসার পরিকল্পনা আসে।
মেয়েটির দাবি, তিন বন্ধুই তাকে এখানে নিয়ে এসেছে। সে হুমকি দেয়, তাকে তাড়ানোর কথা ভাবলে সবাইকে জানিয়ে দেবে তার সঙ্গে কি কি হয়েছে। কিছু না করেও তিন বন্ধু পড়ে যায় ঝামেলায়। ঈশিকা প্রতি পদক্ষেপে ইকবালকে বিরক্ত করতে থাকে। কিছুদিন আগে আকদ হওয়া ইকবাল না পারে বন্ধুদের সঙ্গে মজা করতে, না পারে বাগদত্তার সঙ্গে কথা বলতে।
হিমেলের রুমে চার্জার খুঁজতে হোটেলের অন্য রুম থেকে আসে সানজিদা। হিমেল চার্জার দেয়। সানজিদা তাকে রুমে চা খেতে যেতে বলে। দু’জন একসঙ্গে ঘুরতে বের হয়। সানজিদা ও সদ্য বিবাহিত হিমেলের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। অন্যদিকে আত্মহত্যার জন্য সাগরপাড়ে গিয়ে নদীর সঙ্গে পরিচয় হয় নিউটনের। ক্রিয়েটিভ এজেন্সির চাকরি ছাড়ায় নিউটনের ছয় বছরের প্রেম ভেঙে গেছে। নদীর সঙ্গে মনের এই দুঃখ শেয়ার করে নিউটন।
নদীও চায় মরে যেতে। কীভাবে আত্মহত্যা করা যায় সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা চালিয়ে যায় নদী ও নিউটন। কিন্তু সব চেষ্টাই কোনো না কোনো ঝামেলা হয়ে তারা আর আত্মহত্যা করতে পারে না। এক পর্যায়ে দু’জনের মধ্যে ভালো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়।
এভাবে এগোয় ধারাবাহিক নাটক ‘এভারগ্রিন এইটিন’-এর গল্প। এতে অভিনয় করেছেন সাজু খাদেম, ইরেশ যাকের, আরফান আহমেদ, নোভা ফিরোজ, অর্চিতা স্পর্শীয়া, তাসনোভা এলভিন, কাজী উজ্জ্বল, আঁচল হোসেন, লিপসি শিলা প্রমুখ।
নাটকটি লিখেছেন ও পরিচালনা করেছেন ইমরাউল রাফাত। এর বেশিরভাগ চিত্রায়ন হয়েছে কক্সবাজারে। একুশে টেলিভিশনে ঈদের দিন থেকে ঈদের সপ্তম দিন পর্যন্ত প্রতি সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে প্রচার হবে ‘এভারগ্রিন এইটিন’।
বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৬
জেএইচ