হজে যাওয়ার কথা ছিলো মানুষটির। এখন নিখোঁজ।
শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে বাংলানিউজের সঙ্গে কথা হয় বৈরাগীর স্ত্রী রাজিয়া হাসানের। তিনি জানান, ৭ আগস্ট থেকে তার স্বামী নিখোঁজ রয়েছেন। ওইদিন সকালে ছেলে সামন্ত হাসান ইসাকে কলেজে পৌঁছে দিয়ে বাসার দারোয়ানের কাছে গাড়ির চাবি রেখে বের হয়ে যান বৈরাগী। এরপর তার আর হদিস পাওয়া যায়নি। পুলিশ ও র্যাবের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে উল্লেখ করে রাজিয়া জানান, তারা তাদের মতো চেষ্টা করছে।
রাজিয়া হাসান কাঁদতে কাঁদতে বাংলানিউজকে বলেন, ‘২৯ বছরের সংসার জীবনে এমনটা আর ঘটেনি। কথা ছিলো আমার সাহেবসহ পরিবারের চারজন একসঙ্গে হজ করতে যাবো। কিন্তু এর আগেই তিনি নিখোঁজ হয়ে গেলেন! যে মানুষটি আমাদের ছাড়া বাইরে রাত্রিযাপন করেন না, সেই মানুষটি কী করে দুরে সরে আছেন? আমি আমার সাহেবকে নিয়ে খারাপ কিছু ভাবতে চাই না। আমি শুধু জানতে চাই তিনি কোথায় আছেন। ’
রাজিয়া হাসানের সঙ্গে দীর্ঘ আলাপে জানা যায়, পারিবারিক বিরোধের কারণেই ‘উধাও’ হয়েছেন বৈরাগী। কার সঙ্গে, কী সেই বিরোধ? এমন প্রশ্নের পর চুপ থাকেন রাজিয়া। তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে এখনই কিছু বলতে চাই না। আর কিছুদিন অপেক্ষা করি। এর মধ্যে বৈরাগীকে ফেরত না পেলে আমি সব ফাঁস করে দেবো। এ নিয়ে আমি এখন মুখ খুলতে চাই না। আমি ভালোয় ভালোয় আমার স্বামীকে ফেরত চাই। ’
কথায় কথায় জানা গেলো, দুই বোন, দুই ভাই (একজন প্রবাসী) ও তাদের স্ত্রীদের সঙ্গে বিরোধের জেরে ফখরুল হাসান বৈরাগী স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে হাতিরপুল ছেড়ে নতুন বাসায় ওঠেন কিছুদিন আগে। অসুস্থ মাকে ছেড়ে আসতে বৈরাগীর বেশ খারাপ লাগলেও তিনি বাধ্য হয়েছিলেন। রাজিয়া জানান, বিরোধের জেরে তার গায়ে হাতও তুলেছেন বৈরাগীর দুই বোন। বিয়ে হয়ে গেলেও দুই বোন এখনও মায়ের কাছেই থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৬
এসও