বড় ও ছোটপর্দার ব্যস্ত অভিনেত্রী মৌসুমী হামিদ। ঈদের কয়েকটি নাটক ও টেলিছবিতে অভিনয় করে দৃষ্টি কেড়েছেন তিনি।
বাংলানিউজ: ঈদ কেমন কাটলো?
মৌসুমী: এবারও পরিবারের সঙ্গে ঈদ করেছি। খুলনায় ঘোরাঘুরি করেছি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। বেশ আনন্দেই কেটেছে ঈদের দিনগুলো।
বাংলানিউজ: ছুটি শেষ? শুটিং শুরু করে দিয়েছেন?
মৌসুমী: বাংলাভিশনের ধারাবাহিক ‘স্বর্ণলতা’র শুটিং শুরু করেছি ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে। এছাড়া গোলাম সোহরাব দোদুলের ‘সংসার’(এনটিভি) ধারাবাহিকেরও শুটিং চলছে। এখন আপাতত ধারাবাহিকগুলোর শুটিং নিয়েই ব্যস্ততা। সুমন আনোয়ারের ‘সিনোমাওয়ালা’(এনটিভি) ও অরণ্য আনোয়ারের ‘বহুরূপী’(আরটিভি) নাটকগুলো প্রচার হচ্ছে চ্যানেলগুলোতে। এছাড়া আরেকটি নতুন ধারাবাহিকের শুটিং শুরু করবো।
বাংলানিউজ: ঈদে আপনার কয়টি নাটক প্রচার হলো?
মৌসুমী: ৮-৯টি নাটক ও টেলিছবি করেছি। ভালো গল্প, চিত্রনাট্য, পরিচালক দেখেই এগুলো নির্বাচন করেছিলাম।
বাংলানিউজ: নিজের কাছে বেশি ভালো লেগেছে কোনটি?
মৌসুমী: আমি মনে করি, একজন শিল্পীর নিজের সব কাজই সমান প্রিয় হওয়া উচিত। এবার আমি গল্প দেখে নাটক বাছাই করেছি। তাই প্রতিটি কাজ করেই আমার ভালো লেগেছে। এগুলোর মধ্যে-সুমন আনোয়ারের ‘স্বপ্নকুহক’ ও ‘সংকট’, গৌতম কৈরীর ‘ফড়িং জীবন’-এর কথা বিশেষভাবে বলতে হবে।
বাংলানিউজ: বিশেষ প্রস্তুতি নিতে হয়েছিলো?
মৌসুমী: প্রস্তুতি নেওয়ার দরকার আছে, সে চরিত্রটি যেমনই হোক। ‘স্বপ্নকুহক’ টেলিছবিটির জন্য বিশেষ প্রস্তুতি নিতে হয়েছিলো। মানিকগঞ্জের তাঁতী এলাকায় নাটকটির শুটিংয়ের প্রয়োজনে টানা সাতদিন কাটিয়েছিলাম। তাঁতীদের জীবনযাত্রার সঙ্গে মিশে গিয়েছিলাম। সুতার কাজও শিখতে হয়েছে। এর আগে এমন অভিজ্ঞতা কখনও হয়নি।
বাংলানিউজ: শুটিংয়ের উল্ল্যেখযোগ্য কোনো ঘটনা কি মনে পড়ছে?
মৌসুমী: ‘সংকট’ নাটকের শুটিং হয়েছিলো গাজীপুরের কালিয়াকৈরে। নাটকের একটি দৃশ্যের শুটিং করছিলাম আমি আর রওনক ভাই। দৃশ্যটি ছিলো, তিনি আমার হাতটা শক্ত করে মোচড় দেবেন। এমন সময় আমার কাঁচের চুড়ি ভেঙে আমার হাতে ঢুকে যায়। এতে মারাত্মক আহত হই আমি। এরপর পাশের হাসপাতালে গেলে চিকিৎসকরা হাতে ছয়টি সেলাই দেন। সত্যি বলতে, ‘সংকট’ নাটকটি নিয়ে বেশ সংকটে পড়েছিলাম। ন্যতম।
বাংলানিউজ: ঈদে অন্যদের কাজ দেখা হয়েছে?
মৌসুমী: আমি বরাবরই অন্যদের অভিনয় দেখার চেষ্টা করি। ইউটিউব নয়, টিভির সামনে বসে নাটক দেখতে পছন্দ করি। শিহাব শাহীন ভাইয়ের কয়েকটি কাজ দেখেছি। এর মধ্যে ‘ভালোবাসার পঙক্তিমালা’ বেশ ভালো লেগেছে। এছাড়া গোলাম সোহরাব দোদুল ভাইয়ের ‘ডুয়েল প্লে’ টেলিছবিটিও অসম্ভব ভালো লেগেছে।
বাংলানিউজ: নির্মাতাদের কাজের ধরন বা মান নিয়ে অনেক শিল্পীরাই হতাশা প্রকাশ করেন। আপনার ক্ষেত্রে কি কখনও এমন হয়েছে?
মৌসুমী: ঈদের নাটক-টেলিছবিগুলোর শুটিংয়ের জন্য তিন থেকে চারদিন করে সময় দিয়েছি। এমনটা অনেকে পারেন না। অনেক পরিচালককে দু’দিনের মধ্যে শুটিং শেষ করতে হয়। আমি যেসব নির্মাতার সঙ্গে কাজ করেছি তারা যথেষ্ট সময় দিয়েছেন। তাদের প্রতি আমার কোনো অসন্তোষ নেই।
বাংলানিউজ: আবার বড়পর্দায় ফিরবেন কবে?
মৌসুমী: এ বছরই বড়পর্দায় কাজ শুরু করবো। সুমন আনোয়ারের ‘কয়লা’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রস্তাব পেয়েছি। এর কাজ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়ার কথা। আমার বিশ্বাস, ভালো একটি গল্পে কাজ করতে যাচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৬
জেএমএস/এসও