ছোটপর্দার জনপ্রিয় মুখ ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর। ঈদের পরপরই শুরু করেছেন শারদীয় দূর্গা পূজার নাটকের কাজ।
বাংলানিউজ: ঈদের ছুটি কেমন কাটলো?
ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর : ঈদের আগের দিন পর্যন্ত কাজে ব্যস্ত ছিলাম। এছাড়া আমার বাবার অসুস্থতার কারণে হাসপাতালেও থাকতে হয়েছে। ঈদের ছুটির আমেজ বুঝে উঠতেই পারিনি। মানসিকভাবে খুবই দূর্বল হয়ে পড়েছিলাম। আমার বাবার কিডনির সমস্যায় ভুগছেন। নিয়মিত ডায়ালেসিস নিতে হয়। হঠাতই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।
বাংলানিউজ: ঈদ নাটকগুলোর সাড়া কেমন পাচ্ছেন?
ঊর্মিলা : এবার ১২টি নাটকে অভিনয় করেছি। ভালো কিছু গল্পে কাজ করতে পেরে বেশ আনন্দিত আমি। এর মধ্যে-গৌতম কৈরীর ‘ফড়িং জীবন’, শিহাব শাহীনের ‘মেহমান’, মাহমুদ দিদারের ‘বৃষ্টির রং’, রেদওয়ান রনির ‘চলো সবে ডায়েট করি’, শিব্বির আহমেদ মান্নার ‘হারুন মিয়ার খোয়াব’ নাটকগুলোর ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি। ফেসবুকে নাটকগুলো নিয়ে ভক্তদের ভালোলাগার কথা জানতে পারছি।
বাংলানিউজ: নিজের নাটক দেখার সুযোগ পাননি?
ঊর্মিলা: ‘ফড়িং জীবন’, ‘মেহমান’ ও ‘বৃষ্টির রং’- তিনটি নাটকের কিছু অংশ দেখেছি। গত ঈদেও আমার নাটকগুলো নিয়ে ফেসবুকে সুন্দর করে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। কিন্তু এবার পারিনি।
বাংলানিউজ: শুটিংয়ের কোনো মজার মূহুর্ত মনে পড়ে?
উর্মিলা: ‘চলো সবে ডায়েট করি’ নাটকটির গল্প বেশ মজার ছিলো। মোটা দেখানোর জন্য ড্রেসের সঙ্গে ফোম পরে শুটিং করেছি। এছাড়া প্রচুর খেয়েছি। আমি যেমন খেতে পছন্দ করি। সামনে অনেক খাবার পেয়ে লোভ সামলাতে পারছিলাম না। ডায়েট করে ওজন কমেয়েছিলাম, এ নাটকে খাবারের শট দিতে গিয়ে খেয়ে খেয়ে ওজন বেড়ে গেছে।
এছাড়া মাহমুদ দিদারের ‘বৃষ্টির রং’ নাটকটির জন্য আমরা বিরুলিয়ায় নদী পাড়ের একটি মনোরম পরিবেশে শুটিং করেছি। যেখানে গাছের সঙ্গে এটি দোলনা বাঁধা ছিলো। নাটকে আমাকে দোলনায় ঝুলতে দেখা যায়। দোলনায় ঝুলতে ঝুলতে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যাচ্ছিলো, নস্টালজিয়া আর কি।
বাংলানিউজ: পরিবার ও মিডিয়া দুটো জায়গা কিভাবে সামলে চলছেন চলেন?
ঊর্মিলা: দুটো জায়গায় আমার খুব প্রিয়। ব্যস্ত থাকার কারণে আমার ওপর পারিবারিক কোনো বিষয় চাপ তৈরি করে না। কারণ পরিবারের সবার কাছ থেকে সহযোগীতা পাচ্ছি। বাবা-মার পাশাপাশি স্বামীও কাজের প্রতি বেশ উৎসাহ দেন।
বাংলানিউজ: কার উৎসাহ বেশি ভালো লাগে?
ঊর্মিলা: আমার বাবা আমার অভিনয়ের বড় একজন ভক্ত। আমার অভিনয় তিনি সবসময় মুগ্ধ হয়ে দেখেন। বাবা চোখে আমি তার ‘দূর্গা মা’, যিনি দশ হাতে দশ দিক সামলান। বাবা ফেসবুকে আমার প্রতিটি নাটকের খবর শেয়ার করেন, দেখার অনুরোধ করেন। এমনকি আত্মীয়-স্বজনকেও ফোন করেন নাটক দেখার জন্য। তাই আমার প্রতিটি কাজের পেছনে বাবার প্রেরণা কাজ করে সবচেয়ে বেশি।
বাংলানিউজ: দুর্গাপূজোর কাজ নিয়ে ব্যস্ততা কেমন?
ঊর্মিলা: কয়েকটি নাটক করছি। এর মধ্যে সুমন ধরের ‘তিথির অতিথি’ নাটকের শুটিং শুরু করেছি। এছাড়া বিভিন্ন ফটোশুটেও অংশ নেবো।
বাংলানিউজ: ধারাবাহিক না-কি একক নাটক? কোনটিকে এগিয়ে রাখবেন?
ঊর্মিলা: আমার মতে একক নাটকগুলোর মাধ্যমেই দ্রুত দর্শকের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়। দর্শকও বেশি উপভোগ করেন। অল্প সময়ের মধ্যেই নাটকের শেষটা দেখা সম্ভব হয়। কিন্তু ধারাবাহিক নাটকগুলো নিয়ম করে বসে দেখার সময় অনেক দর্শকই পান না। আসলে পর্দায় নিয়মিত থাকার জন্যই ধারাবাহিকে অভিনয় করি।
বাংলানিউজ: অবসরে কি করেন?
ঊর্মিলা: আমি গান গাইতে পছন্দ করি। রবীন্দ্রসংগীতের ওপর ভালোভাবেই তালিম নিয়েছি। অভিনেত্রী না হলে হয়তো সংগীতশিল্পী হতাম। তবে বাসায় নিয়মিত গান করা হয়। বিশেষ করে অবসরে। এছাড়া কয়েকটি নাটকে নিজের কণ্ঠেই গান গেয়েছি। অবসরে পরিবারের সদস্যদের নিজের হাতে রান্না করে খাওয়াতে পছন্দ করি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৬
জেএমএস/এসও