বলিউডের খ্যাতিমান নির্মাতা অনুরাগ কশ্যপের স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি ‘মোরাব্বা’র ছায়া অবলম্বনে তৈরি হলো টিভি নাটক ‘হারুন মিয়ার খোয়াব’। এর রূপান্তর, চিত্রনাট্য, সংলাপ লিখেছেন শিব্বির আহমেদ মান্না।
নাটকটির গল্প মফস্বলের ছোট্ট ফার্নিচার দোকানের মালিক হারুন উর রশীদকে ঘিরে। চা ও টেলিভিশনে আসক্তি তার। পিত্তথলীতে পাথর জমা রোগে আক্রান্ত হলেও যাবতীয় শল্যচিকিৎসা ও আধুনিক চিকিৎসার ঘোরবিরোধী তিনি। বরং ভেষজ চিকিৎসা-কবিরাজী চিকিৎসায় বিশ্বাসী।
একদিন টিভি দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পড়লে হারুন স্বপ্নে একজন টিভি ব্যক্তিত্বর দেখা পান। তার কাছে এই রোগের ওষুধ আছে, ছেলেকে পাঠিয়ে দিলে তিনি ওষুধটা দিয়ে দেবেন বলে জানান! হারুন উর রশীদের ছেলে জিল্লুর রহমানের বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই বাবার ব্যবসায়। তার যাবতীয় আগ্রহ ক্ষমতা ও রাজনীতির প্রতি। বাবার ধারণা ছিলো ছেলেকে বিয়ে দিলে ঘরে মন বসবে, দোকানে বসবে। কিন্তু জিল্লু বসে থাকে এলাকার ব্যর্থ রাজনীতিবিদ শামীম মামার তাসের ঘরে।
ছেলে ও ছেলের বউকে স্বপ্নের কথা জানালে শ্বশুরভক্ত বউ বাবার কথা বিশ্বাস করে। ঘনিষ্ঠ বন্ধু শরিফুলের অনেক বোঝানোর পর জিল্লু এই প্রথম গ্রাম ছেড়ে ঢাকায় রওনা হয়। টিভি অভিনেতাকে পাওয়ার পর তিনি জানান, টিভিতে ও বিজ্ঞাপনে যা বলেন সেগুলো বাস্তব নয়। বাস্তবতা হলো জিল্লুর বাবাকে চিকিৎসা করাতে হবে। প্রমাণস্বরূপ বাবার জন্য অভিনেতার সঙ্গে নিজের একটি ছবি নিয়ে যায় সে।
গ্রামে ফেরার পর হারুন উর রশীদ খুব আনন্দিত যে তার ছেলে এই প্রথম কোনো কার্যসম্পাদনে যুক্ত হলো। ছেলে নিজের বোধোদয় থেকে আড্ডা ছেড়ে দোকানে বসে আর বাবা এখন নিশ্চিন্ত আর নির্ভার। প্রশ্ন হলো হারুন উর রশীদ আদৌ কোনো স্বপ্ন দেখেছিলেন কি-না নাকি তা ছিলো নিছকই ছেলেকে পরীক্ষায় পাঠানোর গভীর পরিকল্পনা?
‘হারুন মিয়ার খোয়াব’-এ জিল্লু চরিত্রে অভিনয় করেছেন ছোটপর্দার এ সময়ের অভিনেতা অ্যালেন শুভ্র। তিনি বললেন, ‘অনুরাগ কশ্যপ আমার পছন্দের নির্মাতা। তার ছবির অনুপ্রেরণায় নির্মিত নাটকে কাজ করাটা উপভোগ করেছি। নাটকটি প্রচারের পর অনেক সাড়া পেয়েছি। ’
এ ছাড়া টিভি অভিনেতার ভূমিকায় আবুল হায়াত, হারুন উর রশীদ চরিত্রে হারুন রশীদ ও জিল্লুর বউ রুকসানার ভূমিকায় আছেন উর্মিলা শ্রাবন্তী কর। সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে দেশ টিভিতে প্রচারিত হয়েছে নাটকটি।
বাংলাদেশ সময় : ১০৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৬
জেএইচ