হলিউডের হেভিওয়েট দম্পতি ব্র্যাড পিট ও অ্যাঞ্জেলিনা জোলির সংসারে ভাঙন! আলাদা হয়ে গেলেন ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস’। পশ্চিমা দুনিয়ার সবচেয়ে জ্বলজ্বলে স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য জীবনের ইতি হলো।
পিটের সঙ্গে বিয়ে বিচ্ছেদ চেয়ে আদালতে আবেদন করেছেন জোলি। দুই বছর ধরে বৈবাহিক জীবন কাটছিলো তাদের। বিয়ের আগে এক দশকেরও বেশি সময় প্রেমের সাম্পানে ভেসেছেন দু’জনে। সাজানো সেসব দিন এখন স্মৃতি।
জোলির অ্যাটর্নি রবার্ট অফারের বিবৃতি প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে বলা হয়েছে, ‘পরিবারের স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জোলি কোনো মন্তব্য করবেন না। এখন পরিবারের জন্য গোপনীয়তার সময় বলে সবার কাছে সেই আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ’
টিএমজেড ওয়েবসাইটের তথ্যানুযায়ী, গত ১৫ সেপ্টেম্বর পিট-জোলির বিচ্ছেদ হয়েছে। আদালতে জমা দেওয়া আবেদনে ছয় সন্তানের দেখাশোনা করার অনুমতি চেয়েছেন ৪১ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী। এর মধ্যে তিনজন দত্তক। তবে ৫২ বছর বয়সী পিটকে সন্তানদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দিতে চান তিনি। তবে স্ত্রী হিসেবে কোনো সহায়তা চাননি জোলি।
ভক্তদের কাছে এ খবর হতাশার হলেও চমকাননি কেউ। কারণ তাদের সংসারে যে বিরহের সুর বাজছে তা গত বছর মুক্তি পাওয়া পিট-জোলি অভিনীত ‘বাই দ্য সি’ ছবিতেই আঁচ করা গেছে। সমস্যাগ্রস্ত বৈবাহিক জীবন নিয়ে এটি পরিচালনা করেন অস্কারজয়ী জোলি। ধারণা করা হচ্ছে, তার এ সিদ্ধান্তের পেছনে সন্তানদের দেখভাল করার ক্ষেত্রে পিটের ধরণই দায়ী। জোলির তা মোটেও ভালো লাগছিলো না। আবেদনে মতের অমিলের কথাও উল্লেখ রয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে পিপল ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পিট বলেছেন, ‘আমি খুবই মর্মাহত ও বিষণ্ন। তবে এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমাদের সন্তানের ভালো থাকা। সংবাদমাধ্যমের কাছে আহ্বান জানাই, এই কঠিন সময়ে তাদেরকে কাঙ্ক্ষিতভাবে থাকতে দিন। ’
২০০৪ সালে ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস’ ছবিতে একসঙ্গে অভিনয় করতে গিয়ে পিট ও জোলির মধ্যে সখ্য গড়ে ওঠে। তখনই একে অপরের প্রেমে পড়েন তারা। যদিও হলিউডের আরেক অভিনেত্রী জেনিফার অ্যানিস্টনের সঙ্গে পিটের তখনও সংসার চলছিলো। অন্যদিকে পিটের আগে হলিউড অভিনেতা জনি লি মিলার ও বিলি বব থর্নটনকে বিয়ে করেছিলেন জোলি। কিন্তু কোনোটাই টেকেনি। টিকলো না তার তৃতীয় সংসারও।
বাংলাদেশ সময়: ০২০৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৬
জেএইচ