১৯৯৬ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে সংঘটিত একটি বাস্তব ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে ‘আলগা নোঙর’ নামের একটি ছবি। দর্শকদের মধ্যে কৌতূহল তৈরির লক্ষ্যে ইউটিউবে প্রকাশিত হলো এর একঝলক।
একটি হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগে কর্মরত এক শান্ত হতদরিদ্র সংগ্রামী তরুণীর জীবনের টানাপোড়েন নিয়েই মূলত ছবিটির কাহিনি। এ চরিত্রে অভিনয় করেছেন কাজী নওশাবা আহমেদ। তিনি অবশ্য উদ্বেগ নিয়ে বললেন, ‘একরকম চুরি করেই ট্রেলারটি কারও মাধ্যমে অনলাইনে চলে এসেছে। আমরা কেউই ব্যাপারটি অনুমান করতে পারছি না। ’
তবে ছবিটি নিয়ে নওশাবার অনেক প্রত্যাশা। তিনি জানান, ২০১৪ সালের শুরুর দিকে এর চিত্রায়ন শুরু হয়। তখন টানা আড়াই মাস চট্টগ্রামে কাজ করেছেন তিনি। কন্যাসন্তানকে ছেড়ে থাকতে বেশ কষ্ট হয়েছে তার। ‘ছবিটিতে আমাকে যেমন দুঃখী চেহারায় দেখা যাবে, মেয়েকে ছেড়ে থাকার কষ্টও যুক্ত হয়েছে এর সঙ্গে। ছবিটির জন্য অন্ধের মতো দিনরাত খেটেছি’-বললেন তিনি।
‘আলগা নোঙর’-এ অভিনয়ের জন্য নওশাবার ব্যাপক প্রস্তুতি ছিলো। রাত জেগে আর না খেয়েও থাকতে হয়েছে তাকে। তিনি বললেন, ‘ক্ষুধার্ত অবস্থায় না খেয়ে থাকতে থাকতে যেমন শরীরের হাড় বেরিয়ে যায়, আমাকেও তেমন রোগা হতে হয়েছিলো। এজন্য প্রোটিন খাওয়া পুরোপুরি ছেড়ে দিয়েছিলাম। রাত জেগে ও না খেয়ে থাকার কারণে আমার ওজন অনেক কমে গিয়েছিলো। সত্যি বলতে কী, শিল্পী হিসেবে চরিত্র ফুটিয়ে তোলার জন্য এগুলো স্বাভাবিক ব্যাপার আমার কাছে। কাজ করতে গিয়ে কষ্টকে কষ্ট মনে হয়নি। ’
ছবিটির পুরো দৃশ্যায়ন হয়েছে শীতে। তার ওপর বেশিরভাগ চিত্রায়ন হয়েছে রাতে ও ভোরে। এজন্য বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিলো নওশাবাসহ পুরো ইউনিটকে। ‘কনকনে শীতে গরম হাওয়া ছাড়া সংলাপ বের হতো না মুখ দিয়ে! নদীতে নৌকায় ধারণকৃত দৃশ্যগুলোর সময় প্রচন্ড শীতে হাত-পা অবশ হয়ে যেতো’- জানালেন নওশাবা।
বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাতা ওয়াহিদ তারেক পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘আলগা নোঙর’। এতে আরও অভিনয় করেছেন ইলোরা গহর, সুমন আনোয়ার, ফাইজুর মিল্টন, বর্ষণসহ অনেকে। ছবিটি এ বছর মুক্তি পেতে যাচ্ছে। তার আগে আসল ট্রেলারটি প্রকাশ হবে বলে জানা গেছে।
* ‘আলগা নোঙর’ ছবির ট্রেলার :
বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৬
জেএমএস/জেএইচ/এসও