ফেনী: “কোরবানির ঈদ আর পূজার মৌসুমেও সিনেমা হল ছিলো দর্শকশুন্য। কিন্তু ‘আয়নাবাজি’ চালানো শুরুর পর হয়ে গেলো হাউজফুল!’- বলছিলেন ফেনীর দুলাল সিনেমা হলের টিকেট ম্যানেজার মিজানুর রহমান।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর ছবিটি মুক্তি পায়। তবে ফেনীতে ৭ অক্টোবর থেকে চলছে ‘আয়নাবাজি’। দুলাল প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি দেখতে ভিড় করছেন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, চাকরিজীবি, সংস্কৃতিপ্রেমীসহ বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার দর্শকরা। সরেজমিন দেখা যায়, ছাত্রদের আগ্রহ তুলনামূলকভাবে বেশি।
দর্শকরা জানান, অশ্লীলতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে দর্শকরা হলবিমুখ ছিলেন। কিন্তু ‘আয়নাবাজি’ ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদেরকেও আবার হলমুখী করেছে। আগামীতেও এ ধরনের ছবি তৈরি করতে অন্য পরিচালকদের এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করেন তারা। এর কাহিনী, চিত্রনাট্য, সংলাপ ও অভিনয়ের প্রশংসা করছেন দর্শকরা।
এখানকার টিকেট ম্যানেজার আরও জানান, ‘আয়নাবাজি’ মুক্তির পর থেকে তাদের প্রেক্ষাগৃহের প্রতিটি শো হাউসফুল যাচ্ছে। তার দাবি, গত ৪০-৪৫ বছরেও এতো দর্শক সমাগম হয়নি এখানে। তিনি বললেন, ‘এ ধরনের ভিড় সত্তর দশকের দিকে লক্ষ্য করা যেতো বলে শুনেছি। বহু বছর পর প্রতিটি শো হাউসফুল হওয়ায় আমাদের ব্যবসা জমে উঠেছে। ’
দুলালে প্রতিদিন চারটি শোতে দেখানো হচ্ছে ‘আয়নাবাজি’। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এটি চলবে। অমিতাভ রেজা চৌধুরী পরিচালিত ছবিটির গল্প অভিনয় পাগল মানুষ শরাফত করিম আয়নাকে ঘিরে। ইচ্ছেমতো যে কোনো মানুষের চরিত্রে রূপ বদলে ফেলতে তার জুড়ি নেই। অভিনয়ের নেশায় সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের ছদ্মবেশে জেল খাটে সে। সঙ্গে টাকাও আসে ভালো।
আয়না চরিত্রে ছয়টি ভিন্ন রূপে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী। ছবিটির মাধ্যমে বড়পর্দায় অভিষেক হয়েছে উপস্থাপিকা নাবিলার। অন্যান্য চরিত্রে আছেন পার্থ বড়ুয়া, লুৎফর রহমান জর্জ, ইফফাত তৃষা, গাউসুল আলম শাওন, বৃন্দাবন দাশ, ‘মীরাক্কেল’ তারকা জামিল। অতিথি চরিত্রে দেখা গেছে আরিফিন শুভ, বিজরী বরকতউল্লাহ ও পরিচালক অমিতাভ রেজাকে। কনট্যান্ট ম্যাটার্সের প্রযোজনায় হাফ স্টপ ডাউন লিমিটেড নির্মিত এ ছবির গল্প ভাবনা গাউসুল আলম শাওনের। ছবিটিতে রয়েছে ফুয়াদ আল মুক্তাদির, অর্ণব, হাবিব ও চিরকুট ব্যান্ডের গান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৬
জেএইচ