আমেরিকান রক কিংবদন্তি বব ডিলান ২০১৬ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। ‘আমেরিকান মহান গানের ঐতিহ্যে নতুন কাব্যিক অভিব্যক্তি সৃষ্টি’র জন্য তাকে এ স্বীকৃতি দেওয়া হলো।
ডিলানের সংগীত জীবন শুরু হয় ১৯৫৯ সালে। ৭৫ বছর বয়সী এই গায়ক-গীতিকারের বিখ্যাত গানের তালিকায় রয়েছে ‘ব্লোইন ইন দ্য উইন্ড’, ‘মিস্টার ট্যাম্বুরিন ম্যান’, ‘দ্য টাইমস দে আর অ্যা-চেঞ্জিন’ ইত্যাদি।
আমেরিকার ঐতিহ্যবাহী ফোক ছেড়ে ইলেক্ট্রিক গানে বব ডিলানের মনোনিবেশ করার বিতর্কিত সিদ্ধান্তে বিশ্বজুড়ে ভক্তদের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ছড়িয়ে পড়েছিলো। কিন্তু পরে সেটাই হয়ে ওঠে প্রভাবশালী ধারা। ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’-এ অংশ নেওয়া এই মহান শিল্পীর নোবেল জয়ের সম্মানে তার অজানা পাঁচটি ঘটনা রইলো এখানে।
প্রকৃত নাম
যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটার ডুলুশে রবার্ট অ্যালেন জিমারম্যানের জন্ম ১৯৪১ সালের ২৪ মে। ১৯৬২ সালে আইনি প্রক্রিয়ায় নিজের নাম বদলে তিনি রাখেন ‘বব ডিলান’। ধারণা করা হয়, আমেরিকান ফুটবল দল গ্রিন বে প্যাকার্সের কিংবদন্তি খেলোয়াড় ববি ড্যান ডিলনে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি এই পরিবর্তন এনেছেন।
টপচার্টের শীর্ষে ওঠেনি কোনো গান
ডিলানের বেশকিছু গান যুদ্ধবিরোধী ও নাগরিক অধিকার আন্দোলনের হাতিয়ার হয়ে উঠেছিলো। কিন্তু তার কোনো গান কখনও বিলবোর্ড চার্টের এক নম্বরে ওঠেনি। ১৯৬৫ সালে ‘লাইক অ্যা রোলিং স্টোন’ ও ১৯৬৬ সালে ‘রেইনি ডে ওমেন #টুয়েলভ অ্যান্ড থার্টি ফাইভ’ গান দুটি কাছাকাছি অর্থাৎ দুই নম্বরে গিয়েছিলো।
নিজেকে অনাথ পরিচয় দেওয়া!
২০ বছর বয়সে কলাম্বিয়া রেকর্ডসের সঙ্গে প্রথম চুক্তি করেন বব। কিন্তু আমেরিকান আইন অনুযায়ী একাই কেনো কিছুতে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার মতো বয়স নয় এটা। এ কারণে চুক্তিতে তার মা-বাবা কিংবা অভিভাবকের স্বাক্ষরও প্রয়োজন ছিলো। কিন্তু তিনি তা চাননি। তাই সংগীত প্রযোজক জন হ্যামন্ডকে বিশ্বাস করাতে সক্ষম হন তার মা-বাবা নেই!
বছরে প্রায় ১০০ কনসার্ট
১৯৮৮ সাল থেকে ‘নেভার-এন্ডিং ট্যুর’-এর অংশ হিসেবে বছরে প্রায় ১০০টি কনসার্টে সংগীত পরিবেশন করেন বব। আরেকটি লক্ষণীয় বিষয় হলো, সবশেষ ১৯৯২ সালে একক অ্যাকুস্টিক ঢঙে তিনি পরিবেশন করেন ‘ইটস অলরাইট, মা (আই’ম অনলি ব্লিডিং)’। এরপর আর কোনো কনসার্টে একক অ্যাকুস্টিক ধাঁচের গান করেননি ডিলান।
ভিক্টোরিয়া’স সিক্রেটের বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়া
২০০৪ সালে মেয়েদের অন্তর্বাসের বিখ্যাত ব্র্যান্ড ভিক্টোরিয়া’স সিক্রেটের একটি টিভি বিজ্ঞাপনে দেখা গেছে বব ডিলানকে। ১৯৯৭ সালে প্রকাশিত তার ‘টাইম আউট অব মাইন্ড’ অ্যালবাম থেকে ‘লাভ সিক’ গানটি বিজ্ঞাপনের আবহসংগীত হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এ সময় ইন্টারকাটে দেখানো হয় সুপারমডেল আদ্রিয়ানা লিমা নীল রঙা অন্তর্বাস পরে পরীদের মতো ডানা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।
আরও পড়ুন>>>
* নোবেল জয়ের কথা উল্লেখ করলেন না বব ডিলান
* বব ডিলানের একডজন ধ্রুপদী গান (ভিডিও)
* ডিলান নোবেল পাওয়ায় প্রমাণিত হলো সংগীতও সাহিত্য
* সাহিত্যে নোবেল পেলেন বব ডিলান
বাংলাদেশ সময় : ১৮০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৬
জেএইচ