অমিতাভ রেজা পরিচালিত ‘আয়নাবাজি’ এখন ঢাকাসহ সারাদেশের ৭৪টি প্রেক্ষাগৃহে দারুণ ব্যবসা করছে। এরইমধ্যে এটি হয়ে গেছে দেশের অন্যতম সফল চলচ্চিত্র।
‘আয়নাবাজি’ নিয়ে এমন অবৈধ কর্মকাণ্ড সাইবার আইন ও কপিরাইট আইনের পরিপন্থী। তাই প্রযোজকরা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগের শরণাপন্ন হয়েছেন। তারা রমনা থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করেছেন।
এরপর সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগ ফেসবুকে লাইভ দেওয়া কয়েকটি প্রোফাইল শনাক্ত করে যেসব ডোমেইন বা ওয়েবসাইটে ছবিটির কপি আপলোড করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে। এ ধরনের কোনো বিষয়ে তথ্য থাকলে cyberunit@dmp.gov.bd ইমেইলে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
রবি টিভিতে ছবিটি মুক্তি দেওয়াই কাল হয়েছে বলে পরোক্ষভাবে জানালেন পরিচালক অমিতাভ রেজা। পাইরেসি প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “আমাদের ডিজিটাল পার্টনার হলো রবি। তাদের কাছে ছবির স্বত্ব বিক্রির প্রশ্নই আসে না। শুধু রবি টিভিতে তিন দিনের জন্য দেখানোর জন্য দিয়েছিলাম অর্থাৎ মোবাইল ডিভাইস ছাড়া এটা আর কোথাও দেখা যাবে না। কেউ সাবস্ক্রাইব করলে আমরা রেভিনিউ শেয়ার পাবো, আর কিছু না। শর্ত ছিলো আমাদের পূর্ণ পাইরেসি সুরক্ষিত থাকবে। কিন্তু বাংলাদেশের সাইবার অপরাধীরা অনেক মেধাবী। ভুল সিদ্ধান্ত অবশ্যই ছিলো আমাদের। এ কারণে কেউ কষ্ট পেলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। ’
যোগ করে অমিতাভ রেজা বলেন, “গত চার বছর অক্লান্ত পরিশ্রম করে এ ছবি বানিয়েছি। কিন্তু মুক্তির আগে ‘আয়নাবাজি’কে কেউ পৃষ্ঠপোষকতা দিতে এগিয়ে আসেনি। আমার আপত্তি ছিলো কোনো নিবেদিত আয়নাবাজি হতে দেবো না। মাত্র ২০টি প্রেক্ষাগৃহ আমাদের ছবি নিয়েছিলো, এতে লগ্নি ফেরত আসা অসম্ভব। তারপরও ভরসা করে কোনো প্রিমিয়ার শো ছাড়া সারাদেশের মানুষের জন্য মুক্তি দিয়েছি। আমি, চঞ্চল ভাই, আমরাও টিকিট কেটে সিনেমাটা দেখেছি। সবাইকে টিকিট কেটে প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি দেখা অব্যাহত রাখার অনুরোধ রইলো। ”
বাংলাদেশ সময়: ০০১২ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৬
জেএইচ