ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

বব ডিলানের নোবেল পুরস্কারের অর্থ নিয়ে প্রশ্ন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৬
বব ডিলানের নোবেল পুরস্কারের অর্থ নিয়ে প্রশ্ন

লেকচার দেওয়ার জন্য প্রায় ১০ লাখ ডলার দেওয়া হলে লেখকরা লাইন ধরে দাঁড়িয়ে যাবেন। কিন্তু নোবেল পুরস্কার জয়ের পর বব ডিলানের নিরবতা বলে দিচ্ছে টাকা-পয়সা তার কাছে তুচ্ছ! দুই সপ্তাহ আগে নোবেল জয়ী হিসেবে নিজের নাম ঘোষণার পর এখনও প্রসঙ্গটিতে নির্বাক আছেন আমেরিকান এই গায়ক-গীতিকবি।


 
সাহিত্যে নোবেল পাওয়ার নিয়মানুযায়ী অন্তত একটি লেকচার দিতে হবে বিজয়ীকে। ডিলানের ক্ষেত্রে তা হতে পারে কনসার্টে সংগীত পরিবেশন। পুরস্কার গ্রহণের ছয় মাসের মধ্যে এ কার্যক্রমে অংশ নিলেই কেবল ৯ লাখ মার্কিন ডলার অর্থ পাওয়া যাবে।
 
নোবেল পুরস্কার আয়োজক সুইডিশ অ্যাকাডেমির সদস্য পার ওয়াস্টবার্গ মন্তব্য করেছেন, ডিলানের নিরবতা ‘অভদ্রতা ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ’। নোবেল ফাউন্ডেশন পুরস্কারটি গ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে তা গ্রহণ করবে না। ডিলান যা-ই বলুন না কেনো ২০১৬ সালের বিজয়ী তালিকায় তার নাম থাকবেই।
 
তবে পুরস্কারের অর্থের বিষয়টি ভিন্ন। শর্ত অনুযায়ী, আগামী ১০ ডিসেম্বর পুরস্কার বিতরণী হয়ে যাওয়ার ছয় মাসের মধ্যে ডিলানকে অবশ্যই যে মাধ্যমে বিজয়ী হয়েছেন তা নিয়ে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে গিয়ে লেকচার দিতে হবে। নোবেল ফাউন্ডেশনের মুখপাত্র জোনা পিটারসন বলেন, ‘বিনিময়ে আমরা শুধু এটাই চাই। ’ যোগ করে তিনি জানান, ডিলান চাইলে লেকচারের পরিবর্তে কনসার্টেও অংশ নিতে পারেন। তার ভাষ্য, ‘এই অসামান্য গীতিকবির সঙ্গে মানানসই এমন কিছু আয়োজনের চেষ্টা করছি আমরা। ’
 
‘আমেরিকান সংগীত ঐতিহ্যে নতুন কাব্যিক অভিব্যক্তি সৃষ্টি’র জন্য বব ডিলানকে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হলো। ৭৫ বছর বয়সী এই গুণী শিল্পীর বিখ্যাত গানের তালিকায় রয়েছে ‘ব্লোইন ইন দ্য উইন্ড’, ‘মিস্টার ট্যাম্বুরিন ম্যান’, ‘দ্য টাইমস দে আর অ্যা-চেঞ্জিন’, ‘সাবটেরানিয়ান গোমসিক ব্লুজ’, ‘লাইক অ্যা রোলিং স্টোন’ ইত্যাদি। ষাটের দশকে তার গান হয়ে উঠেছিলো যুদ্ধবিরোধী ও প্রতিবাদের কণ্ঠস্বর।
 
ডিলানকে নোবেল পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করায় লেখকদের মধ্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তার কাজ সাহিত্য হিসেবে বিবেচিত হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। এ পরিস্থিতিতে তিনি নোবেল পুরস্কার নিতে যাবেন কি-না তা নিয়ে চলছে জল্পনা। এর আগে ছয় জন বিজয়ী হওয়ার পরও নোবেল নিতে অস্বীকৃতি জানান। তাদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ফরাসি দার্শনিক লেখক জ্যঁ-পল সাত্রে। ১৯৬৪ সালে ঘটে এ ঘটনা। তবে সাত্রের দুঃসময়ে তার আইনজীবী নোবেল ফাউন্ডেশনকে পুরস্কারের অর্থ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি লেখেন। কিন্তু সুইডিশ অ্যাকাডেমি তা দিতে অস্বীকৃতি জানায়।
 
বাংলাদেশ সময়: ১১০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৬
জেএইচ/জেএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।