দেশের তরে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধাই হয়ে উঠেছিলেন একে অপরের বন্ধু। রণাঙ্গনের বন্ধুত্বের দাবি নিয়ে অনেকে সহযোদ্ধাকে অনুরোধের সুরে বলতেন- ‘তুই যদি বেঁচে যাস, তাহলে আমার পরিবারকে দেখবি।
যুদ্ধকালীন ও যুদ্ধ-পরবর্তী অঙ্গীকার রাখা না রাখার গল্প নিয়ে তৈরি হলো স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ছায়া’। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়ক সাগর। তিনি বাংলানিউজকে বললেন, ‘এবারই প্রথম মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কোনো গল্পে কাজ করলাম। এ ছাড়া যুদ্ধের সময় ব্যবহৃত হয়েছিলো এমন অস্ত্রের মতো ভারি বন্দুক নিয়ে কাজ করেছি। এফডিসি থেকেই সংগ্রহ করা হয়েছিলো এগুলো। মজার বিষয় হলো, এ ছবির মাধ্যমেই দর্শকরা প্রথমবারের মতো আমাকে লুঙ্গি-গামছায় দেখবে। ’
‘ছায়া’ প্রসঙ্গে সাগর আরও বললেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময়কার দুই বন্ধুর অঙ্গীকার নিয়েই সাজানো হয়েছে এটি। একজন শহীদের পরিবারের পাশে ছায়া হয়ে থাকার যে দায়িত্ব তা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে গল্পে। মুক্তিযুদ্ধের সময় কথা দেওয়া এমন অনেকেই আছেন যারা শহীদ সহযোদ্ধার পরিবারের পাশে ছায়া হয়ে আছেন এখনও। সেই বার্তাই দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে এখানে। ’
এ ছবিতে সাগরের বন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন পরিচালক বাবু সিদ্দিকী। তিনিই লিখেছেন গল্পটি। ২০ মিনিট ব্যাপ্তির এ স্বল্পদৈর্ঘ্যে অভিনয় করেছেন তির্যক নাট্যগোষ্ঠীর ২৩ জন নাট্যকর্মী।
সম্প্রতি পূবাইলের হাসনাহেনা শুটিং স্পটে টানা দুই দিন ‘ছায়া’র দৃশ্যায়ন হয়েছে। ছবিটি দেশের বাইরে বিভিন্ন উসবে পাঠানোর পরিকল্পনা চলছে বলেও জানালেন সাগর।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৬
জেএমএস/জেএইচ