শুটিং স্পট গোপন রাখতে পরিচালক সঞ্জয়লীলা বানসালির জুড়ি নেই। তিনি এতো কড়া নিরাপত্তার আয়োজন করেন যে কাকপক্ষীরও ঢোকার সুযোগ থাকে না! ব্যতিক্রম হয়নি ‘পদ্মাবতী’র ক্ষেত্রে।
ছবিটিতে দীপিকা পাড়ুকোন, রণবীর সিং ও শহিদ কাপুরকে কেমন দেখাবে তা যেন ফাঁস না হয় সেজন্য নজরদারি রাখছেন বানসালি। হিন্দুস্তান টাইমসকে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, নিরাপত্তা রক্ষীর সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি এ তিন তারকার মুখ ঢেকে তাদেরকে সেট থেকে নিজ নিজ ভ্যানিটি ভ্যানে এগিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
নিজের ছবির যাবতীয় সবকিছু সুরক্ষায় বরাবরই নিরাপত্তার ব্যাপারে কঠোর থাকেন সঞ্জয়লীলা। এর অংশ হিসেবে সেটে মোবাইল ফোন নিয়ে যাওয়ার অনুমতি নেই প্রধান তিন তারকাসহ কোনো কলাকুশলীর। এ বিষয়ে সবার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছেন তিনি।
এর আগে ‘বাজিরাও মাস্তানি’র কাজ চলাকালে সেটে কলাকুশলীদের কারও পরিবারের কোনো সদস্যকে আসার অনুমতি দেননি বানসালি। এ নিয়ম বজায় ছিলো কাশিবাঈ চরিত্রে অভিনয় করা প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার মায়ের বেলায়ও।
সঞ্জয়লীলা বানসালি একা নন, পরিচালক জোয়া আখতার ‘দিল ধাড়াকনে দো’, আশুতোষ গোয়াড়িকর ‘মহেঞ্জোদারো’ এবং সঞ্জয় গুপ্ত ‘জাজবা’র সেটে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ রাখেন।
এদিকে অনেক জল্পনার অবসান ঘটিয়ে গত ১ নভেম্বর থেকে ‘পদ্মাবতী’র চিত্রায়ন শুরু হয়েছে। প্রথম দিন দীপিকার কাজ না থাকলেও তিনি হাজির ছিলেন। বানসালির আগের দুই ছবি ‘বাজিরাও মাস্তানি’ ও ‘গোলিও কি রাসলীলা রাম-লীলা’র বেলায়ও একই চিত্র দেখা গেছে। এগুলোতে তার বিপরীতে ছিলেন রণবীর সিং। এ নিয়ে তৃতীয়বার তারা কাজ করছেন বানসালির ছবিতে।
‘পদ্মাবতী’তে নাম ভূমিকায় অভিনয় করছেন দীপিকা। রানী পদ্মাবতীর স্বামী রাজা রতন সিং চরিত্রে আছেন শহিদ কাপুর। আর দিল্লির সুলতান আলাউদ্দিন খিলজি হিসেবে দেখা যাবে রণবীর সিংকে। যদিও তার সঙ্গে দীপিকার কোনো দৃশ্য থাকছে না ছবিটিতে। এটি মুক্তি পাবে আগামী বছরের ডিসেম্বরে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৬
জেএইচ