বাঙালির দর্শনচেতনার প্রধানতম প্রাণপুরুষ ফকির লালন শাহের সৃষ্টিকর্ম নিয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই দিনের ‘লালন উৎসব ও মেলা ২০১৬’। ছেঁউড়িয়ায় ফকির সাঁইজির মাজার প্রাঙ্গণে এর আয়োজন করা হয়েছে আগামী ১০ ও ১১ নভেম্বর।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে জেলা প্রশাসন কুষ্টিয়ার ব্যবস্থাপনায়, জেলা শিল্পকলা একাডেমি ও লালন একাডেমি কুষ্টিয়ার সহযোগিতায় উৎসবে দেশের প্রতিটি জেলা থেকে প্রতিশ্রুতিশীল ৬৪ জন লালনসংগীত শিল্পী, ৪০ জন বাউল ও জনপ্রিয় লালন সংগীতশিল্পী সংগীত পরিবেশন করবেন। এ ছাড়া লালন দর্শন, লালনসংগীতের সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও প্রসার বিষয়ক সেমিনার ও মুক্ত আলোচনা হবে।
রোববার (৬ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী বলেন, ‘এ কর্মসূচির উদ্দেশ্য শুধু উৎসব বা মেলা আয়োজন নয়, পাশাপাশি লালন একাডেমির লালন ভাবাদর্শে নান্দনিকীকরণ ও আন্তর্জাতিক মানের একটি লালন ইনস্টিটিউট নির্মাণ, যেখানে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ছাত্রছাত্রী এক বছরের ডিপ্লোমা কোর্স করতে পারবে। ’
লিয়াকত আলী লাকী আরও জানান, প্রতি বছর বাউল গানের প্রসারের লক্ষে লালন আখড়ায় মেলা ও লালন উৎসব হবে। এর একটি সাঁইজির সমাধিস্থলে, অন্যটি পর্যায়ক্রমে দেশের অন্যান্য জেলায়। বাউলসংগীত পরিবেশন ও সংগ্রহ হবে এ কর্মসূচির অন্যতম কাজ।
সংবাদ সম্মেলনে আরও এখানে ছিলেন একাডেমির সচিব জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী, প্রযোজনা বিভাগের পরিচালক ইকবাল হোসেন, প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক শাওকাত ফারুক, সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের পরিচালক সোহরাব উদ্দিন, উপপরিচালক শামীমা আক্তার জাহান, অর্থ বিভাগের উপপরিচালক শহিদুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৬
জেএইচ