পরপর দুই দিন নিজের গান ওপার বাংলায় চুরি হয়ে যাওয়ার হতাশার কথা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানালেন সুরকার ও সংগীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। ২০০১ সালে প্রকাশিত কুমার বিশ্বজিতের ‘মা জননী’ অ্যালবামে নিজের লেখা ও সুর করা ‘অন্তর জ্বলেরে জ্বলে’ গানটির সুরকার ও গীতিকার হিসেবে অন্যের নাম দেখে বিস্মিত তিনি।
ভারতীয় শিল্পী ইন্দ্রনীল সেন তার ‘ভালোবাসার ছুটি’ অ্যালবামে গানটি গেয়েছেন নতুন সংগীতায়োজনে। তার গানটির ভিডিও গত ৫ নভেম্বর রাতে ফেসবুকে পোস্ট করে হতবাক হওয়ার সুরে বুলবুল প্রশ্ন তুলে লিখেছেন, ‘এ গান কি ইন্দ্রনীলের না বুলবুলের, কার? এ গানের আসল শিল্পী কে, বিশ্বজিৎ নয়?’
ইন্দ্রনীলকে উদ্দেশ্য করে বুলবুল লিখেছেন, ‘ইন্দ্রনীল, সুরকার হিসেবে তোমার নাম এবং গীতিকার হিসেবে কোরাক-এর নাম দিয়ে তুমি তোমার নিজের সম্মান নষ্ট করেছো, এর বেশি কিছু নয়। ’
এর আগের দিন ৪ নভেম্বর আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল ‘নয়নের আলো’ (১৯৮৪) ছবিতে তার সুর করা তিনটি গান কলকাতায় ১৯৯৮ সালে রিমেক ছবিতে চুরি হওয়ার বিষয়ে স্ট্যাটাস দেন। গানগুলো হলো ‘আমার সারা দেহ খেও গো মাটি’, ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন শুনেছিলাম গান’, ‘আমি তোমার দুটি চোখের দুটি তারা হয়ে থাকবো’। কিন্তু ছবিটিতে সুরসৃষ্টিকারী অশোক ভদ্র এবং গীতিকার হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে সুভাষ ভদ্র, সমীর ঘোষ ও প্রচলিত।
ইন্দ্রনীল সেনের বিরুদ্ধে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের পোস্টটিতে সংগীতাঙ্গনসহ দেশের বিভিন্ন শ্রেণীর ফেসবুক ব্যবহারকারীরা ভারতীয় এ শিল্পীর তীব্র সমালোচনা করেছেন। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বানও জানান তারা।
* ইন্দ্রনীল সেনের কণ্ঠে ‘অন্তর জ্বলেরে জ্বলে’ গানের ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন:
আরও পড়ুন>>>
* এ কেমন কথা! এ-ও কি হয়!
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৬
জেএইচ