ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

রাজশাহীতে ঋত্বিক ঘটক চলচ্চিত্র উৎসব সম্পন্ন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০১৬
রাজশাহীতে ঋত্বিক ঘটক চলচ্চিত্র উৎসব সম্পন্ন ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রাজশাহীতে পাঁচ দিনব্যাপী ঋত্বিক ঘটক চলচ্চিত্র উৎসব শেষ হয়েছে। বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলংকা ও নেপালের ৩০টি চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার (৮ মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় শেষ হলো এই উৎসব।

রাজশাহী: রাজশাহীতে পাঁচ দিনব্যাপী ঋত্বিক ঘটক চলচ্চিত্র উৎসব শেষ হয়েছে। বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলংকা ও নেপালের ৩০টি চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার (৮ মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় শেষ হলো এই উৎসব।

গত শুক্রবার (০৪ নভেম্বর) থেকে রাজশাহীতে এই চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হয়েছিলো।

শুক্রবার উদ্বোধনী দিনে উপমহাদেশের কালজয়ী চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক ঘটকের ৯১তম জন্মদিন উপলক্ষে দুই বাংলার পাঁচ চলচ্চিত্রকার ও গবেষককে ঋত্বিক ঘটক সম্মাননা পদক দেওয়া হয়। রাজশাহীর ‘ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটি’ এই পদক প্রদান করে।

চারদিনের চলচ্চিত্র প্রদর্শনীতে প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা থেকে রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত রাজশাহী মহানগরীর পদ্মাপাড়ে লালন মঞ্চ ও বড়কুঠি মুক্ত মঞ্চে চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

প্রথম দিন লালন মঞ্চে প্রদর্শিত হয় ভারতের বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত পরিচালিত ‘আনওয়ার কা আজাব কিসস্যা’। এদিন বড়কুঠি মুক্ত মঞ্চে দেখানো হয় মোরশেদুল ইসলাম পরিচালিত ‘অনিল বাগচির একদিন’।

দ্বিতীয় দিন বড়কুঠি মুক্ত মঞ্চে প্রদর্শিত হয় রাজশাহীর তাওকীর ইসলাম পরিচালিত ‘আয়না’, এমআই মুন্না পরিচালিত কপি, বসন্ত বাশার পরিচালিত ‘লাভ ইউ সাকিব’, শ্রীলংকার কৈশলা প্যাথিরানা পরিচালিত ‘গড মাস্ট বি ডিফ’ ও ভারতের শ্রীশাতা দাসের ‘বিটউইন’।

এ দিন লালন মঞ্চে দেখানো হয় নেপালের অরুণ দিও জসি পরিচালিত ‘দ্য স্টেইভ’, ভারতের পায়া শেঠি পরিচালিত ‘লিচিস’, রাজশাহীর মাহমুদ হোসেন মুরাদের ‘আলোর দেখা’ ও আহসান কবীর লিটনের ‘নিরবতার স্বপ্ন’। তৃতীয় দিন বড়কুঠি মঞ্চে দেখানো হয় রাজশাহীর শাহারিয়ার চয়নের ‘ফানুস’, মাহফুজ আহমেদের ‘লাভ বোথ সাইড’, অমিত রুদ্রের ‘অন্য কোথাও চল’, আরিফুল রহমান আরিফের ‘কুকুরের প্রতি’, আরিফ হোসেন হৃদয়ের ‘মুখোশ’, মোস্তাহাব হোসেনের ‘দূরন্ত’, ড. সাজ্জাদ বকুলের ‘দাবানল’ ও ভারতের শতরুপা স্যানালের ‘অপালা’।

ওই দিন লালন মঞ্চে দেখানো হয় ভারতের ক্রিস্ট টমি পরিচালিত ‘সুইটহার্ট’, গিরিস কুমার পরিচালিত ‘টু নোটস’, বিজু তপ্পু পরিচালিত ‘দ্য হান্ট’, ইন্দ্রনীল কশাপ পরিচালিত ‘কুলা’, ময়ুরী ওয়ালক পরিচালিত ‘দ্য ইমপাসে’ ও শ্রীলংকার সুদাথ আবে শিরিওয়ারাদাহ পরিচালিত ‘ডাইং ড্রিমস’।

উৎসবের শেষ দিন মঙ্গলবার লালন মঞ্চে প্রদর্শিত হয় রাজশাহীর সীমান্ত রাজনের ‘ইন দ্য ডার্ক’, এমআই মুন্নার ‘যদি সে জানতো’, শাহারিয়ার চয়নের ‘সহানুভূতি’ ও ভারতের এসডি পুভানিন্দ্রামের ‘মারাভান’। আর বড়কুঠি মঞ্চে দেখানো হয় রাজশাহীর আহসান কবীর লিটনের পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘প্রত্যাবর্তন’।

চলচ্চিত্র প্রদর্শনীতে পদ্মাপাড়ে ঢল নামে চলচ্চিত্রপ্রেমীদের। উৎসবের আমেজ বয়ে যায় ওই দুই মঞ্চে।

ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি ডা. এফএমএ জাহিদ, আগ্রহের সঙ্গে চলচ্চিত্র দেখতে আসায় উৎসবের শেষ দিন বড়কুঠি মঞ্চে দর্শকদের ধন্যবাদ জানান

বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৬
এসএস/জিপি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।