ছোটপর্দার এ সময়ের তরুণ অভিনেতা সুজাত শিমুল। অভিনয় করে চলেছেন একাধারে মঞ্চ, টেলিভিশন, চলচ্চিত্র ও বিজ্ঞাপনচিত্রে।
কয়েকদিন আগে বিএফডিসিতে ইমরাউল রাফাতের পরিচালনায় ‘সিনেম্যাটিক’ নামে একটি ধারাবাহিক নাটকের শুটিং করেছেন সুজাত শিমুল। এখানে কাজের ফাঁকে বাংলানিউজের সঙ্গে কথা বললেন তিনি।
বাংলানিউজ: ‘সিনেম্যাটিক’-এ আপনার চরিত্রটি কেমন?
সুজাত শিমুল: প্রথমত নাটকের গল্পটি বেশ মজার। এখানে আমার চরিত্রের নাম আসাদ। সে পেশায় আলোকচিত্রী। সবসময় উত্তেজিত মেজাজে থাকে। কারণ প্রতিনিয়ত নানান বিড়ম্বনায় পড়তে হয় তাকে। এককথায় খুব সুন্দর একটি চরিত্র। অভিনয় করার দারুণ সুযোগ রয়েছে এতে।
বাংলানিউজ: আর কী কী কাজ নিয়ে ব্যস্ত?
সু. শিমুল: এখন আরও সাতটি ধারাবাহিক নাটকে কাজ করছি। এগুলো হলো অঞ্জন আইচের ‘মেঘের পরে মেঘ জমেছে’, আবু হয়াত মাহমুদের ‘বৃষ্টিদের বাড়ি’, মীর সাব্বিরের ‘নোয়াশাল’, বিটিভির ‘উইল’, সুষ্ময় সুমনের ‘মায়ার বাঁধন’, সকাল আহমেদের ‘বাবুই পাখির বাসা’ এবং ‘রানী রাজ্য’। এ ছাড়া একক নাটকের কাজ তো হয়ই। এর মধ্যে দুটির শুটিং হবে জয়পুরহাটে।
বাংলানিউজ: তৌকীর আহমেদের ‘অজ্ঞাতনামা’ ছবিতে মাত্র একটি দৃশ্যে অভিনয় করেছেন। নতুন ছবির খবর আছে?
সু. শিমুল: ‘অজ্ঞাতনামা’র এই একটি দৃশ্য আমাকে অনেক প্রশংসা এনে দিয়েছে। এখন অভিনয় করছি তৌকীর ভাইয়ের পরের ছবি ‘হালদা’য়। সুন্দর একটি চরিত্র। প্রথম ধাপের কাজ শেষ। ডিসেম্বরে শুরু হবে দ্বিতীয় ধাপের শুটিং। ওয়াহিদ তারেকের ‘আলগা নোঙর’ ছবিতেও দেখা যাবে আমাকে। এ ছাড়া পারভেজ আমিনের ‘ঘণ্টি ঘর’ ছবির কাজ শুরু করেছি।
বাংলানিউজ: সম্প্রতি আপনাকে দেখা একটি মিউজিক ভিডিওতে দেখলাম।
সু. শিমুল: এ ধরনের কাজ আগে করিনি। ধ্রুব গুহর গাওয়া ‘আদরে রাখিও বন্ধু’ গানের ভিডিওতে কৃষকের ভূমিকায় অভিনয় করেছি। সত্যিকারভাবে আমাকে মাঠে গরু ও নাঙল নিয়ে হালচাষ করতে হয়েছিলো। চরিত্রটি খুব উপভোগ করেছি। ভিডিওটি নির্মাণ করেছেন শুভব্রত সরকার।
বাংলানিউজ: মঞ্চের খবর কী?
সু. শিমুল: আমি আরণ্যক নাট্যদলের সদস্য। এখনও নিয়মিত মঞ্চের সঙ্গেই আছি। মঞ্চ থেকে প্রতিনিয়ত শিখছি। তবে মাঝে মধ্যে সময় দেওয়াটা খুব কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। তবুও ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা করি। এখন অভিনয় করছি আরণ্যকের ‘ভঙ্গবঙ্গ’ এবং ‘রাঢ়াঙ’ নাটকে। এ ছাড়া মহড়া করছি আরণ্যকের প্রধান সম্পাদক মান্নান হীরার রচনা ও নির্দেশনায় নতুন নাটক ‘দি জুবলী হোটেল’ নাটকের।
বাংলানিউজ: ‘দি জুবলী হোটেল’-এ আপনার চরিত্র কী রকম?
সু. শিমুল: এখানে আমার চরিত্রের নাম কৃষ্ণঢুলী। তার বয়স ৮০ বছর। দাঁত নেই। কথা অর্ধেক বোঝা যায় আর বাকিটা দুর্বোধ্য। ঢোল পিটিয়ে নাটক, সিনেমা, যাত্রা, সার্কাসের ঘোষণা দিয়ে বেড়ায় লোকটা। বেশ মজার চরিত্র।
বাংলানিউজ: ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
সু. শিমুল: অভিনয়ের পাশাপাশি আমার লেখালেখির একটু শখ আছে। প্রতি ঈদে টিভির জন্য একটি করে নাটক লিখি। ইচ্ছে আছে এখন থেকে টেলিভিশনের জন্য নিয়মিত নাটক লিখবো। অদূর নয়, হয়তো সুদূর ভবিষ্যতে আমার জন্মস্থান সন্দীপের স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করবো।
বাংলানিউজ: রূপালি পর্দায় অভিনয় নিয়ে স্বপ্ন কী?
সু. শিমুল: যেসব ছবিতে কাজ করেছি বা করছি, সেগুলোতে আমার চরিত্রের ব্যাপ্তি হয়তো খুব বেশি নয়। কিন্তু এগুলো খুব চমৎকার এবং গুরুত্বপূর্ণ। এগুলোতে পরিণতি ও অভিনয়ের সুযোগ রয়েছে। এসব চরিত্রে কাজ করতে গিয়ে নিজেকে প্রতিনিয়ত নানান রঙে সাজাতে হয়েছে। ভাবতে ও তৈরি হতে হয়েছে। মূলত এসব থেকেই এখন আমি প্রবল স্বপ্নে বিভোর! কবে মনের মতো একটি চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পাবো তা ভাবি। প্রতিনিয়ত তাকিয়ে থাকি বড়পর্দার সেই স্বপ্নের চরিত্রের দিকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৬
জেএইচ