ফেলে আসা দিন ও স্মৃতির সঙ্গে যোগাযোগের সেতু হিসেবে কাজ করে ছবি। তারকাদের স্মৃতিময় ফটো অ্যালবাম থেকে নির্বাচিত ছবি নিয়ে বাংলানিউজের বিনোদন বিভাগের আয়োজন ‘পুরানো সেই দিনের কথা’।
বাংলাদেশের সংগীত ভুবনের জীবন্ত কিংবদন্তি রুনা লায়লা। তার সুরের আবীর শ্রোতার মনে বইয়ে দেয় প্রশান্তির হাওয়া। বৈচিত্রময় আর মনমাতানো গানে গানে পাঁচ দশক ধরে গুণী এই শিল্পী বিলিয়ে এসেছেন নানান রঙের অনুভূতি। তার সুরসমুদ্রে ভেসে যেতে ইচ্ছে করে সববয়সী শ্রোতার।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন রুনা লায়লা। আজ ১৭ নভেম্বর তার ৬৪তম জন্মদিন। এ উপলক্ষে ভক্তদের জন্য প্রতিবেদনটির সঙ্গে দেওয়া হলো তার শৈশব-কৈশোরের কিছু ছবি।
১৯৫২ সালের ১৭ নভেম্বর সিলেটে মোহাম্ম ইমদাদ আলী ও আমিনা লায়লা দম্পতির ঘরে রুনা লায়লার জন্ম। তার বড় বোন দীনা লায়লা ছিলেন কণ্ঠশিল্পী। তিনি গান শেখার সময় ছোটবেলায় রুনা বোনের পাশে বসে থাকতেন। একটি অনুষ্ঠানে দীনা অসুস্থ থাকার কারণে আয়োজকরা রুনাকে মঞ্চে উঠিয়ে দেন। সেখানে তানপুরা নিয়ে ‘খেয়াল’ পরিবেশন করে নজর কাড়েন তিনি। সেই থেকে শুরু।
মাত্র সাড়ে ১২ বছর বয়সে ১৯৬৪ সালে পাকিস্তানি ছবি ‘জুগনু’র মাধ্যমে গানে অভিষেক হয় রুনা লায়লার। ওই ছবির ‘গুড়িয়াসি মুনি্ন মেরি’ তার জীবনের প্রথম গাওয়া গান। বাংলাদেশের ছবিতে রুনা লায়লার গাওয়া প্রথম গান হলো গাজী মাজহারুল আনোয়ারের লেখা ও সুবল দাসের সুরে ‘গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে’। লাহোরে থাকাকালেই এতে কণ্ঠ দেন তিনি।
১৯৭৪ সালে পরিবারের সঙ্গে স্থায়ীভাবে থাকার জন্য দেশে চলে আসেন রুনা লায়লা। এরপর দেশীয় চলচ্চিত্রের জন্য গেয়েছেন কালজয়ী অসংখ্য গান। পূর্ণ করেছেন সংগীত জীবনের বর্ণাঢ্য ৫০ বছর।
আরও পড়ুন>>>
* জন্মদিনকে স্পেশাল করে দেয় পরিবার: রুনা লায়লা
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৬
জেএইচ