১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের জন্য দ্ব্যর্থহীন সমর্থন যুগিয়েছিলেন ফরাসি ঔপন্যাসিক আঁন্দ্রে মালরো। বঙ্গবন্ধুর আমন্ত্রণে ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশে এসেছিলেন তিনি।
আঁন্দ্রে মালরোঁর ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, ঢাকার ফরাসি দূতাবাস এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করেছে ধারাবাহিক অনুষ্ঠানমালা। শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে ‘মালরোঁকে মনে পড়ে’ শীর্ষক মূল অনুষ্ঠানটি হয়েছে বুধবার (২৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে দশটায়।
শুরুতে বক্তব্য রাখেন ফরাসি দূতাবাসের উপপ্রধান জ্যঁ পিয়েহ প্যঁশে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মালরোর ভ্রমণের স্মৃতিচারণ করেন এর বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। তারপর স্বাগত বক্তৃতা উপস্থাপন করেন সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। এখানে আরও ছিলেন ইতালীয় রাষ্ট্রদূত মারিও পালমা।
অধ্যাপক ড. মাহমুদ শাহ কুরেশির বর্ণনায় আঁন্দ্রে মালরোর ১৯৭৩ সালের বাংলাদেশ ভ্রমণ নিয়ে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। মালরোর ‘লেসপোয়াহ’ গ্রন্থের অনুবাদক ড. গুরুপদ চক্রবর্তীর আলাপচারিতাও ছিলো অনুষ্ঠানে। এরপর অনূদিত ‘আশা’ গ্রন্থটির নাট্যরূপ থেকে অসীম দাশের নির্দেশনায় একটি নাটক মঞ্চস্থ হয়। এতে মালরোর বিভিন্ন সময়ের বক্তব্যগুলো গুরুত্ব দিয়ে উপস্থাপন করা হয়।
১৯৫৯ সালে মালরোকে ফ্রান্সের প্রথম সংস্কৃতি মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করেন চার্লস দ্য গল। গণসংস্কৃতির মুখপাত্র মালরোঁ বিষয়ে একটি গোলটেবিল বৈঠকও আয়োজিত হয়। এতে অংশ নেন সংস্কৃতি মন্ত্রী, ইতালীয় রাষ্ট্রদূত, অধ্যাপক কায়সার হক, ঢাকা আর্ট সামিটের রুক্সমনি, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের জিয়াউদ্দিন তারিক আলী এবং কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক।
এ ছাড়া শিল্পকলা একাডেমির লবিতে ছিলো দুটি প্রদর্শনী। একটির নাম ‘ড্রয়িং ফ্রিলি’। আনিস্টিটিউট ফ্রঁসেজ এবং কুরিয়ার ইন্টারন্যাশনালের সৌজন্যে এটি সাজানো হয় মুক্তির স্বপক্ষের ১২টি সংবাদ কার্টুন নিয়ে। অন্যটির নাম ‘নভেম্বর ইন প্যারিস’। আলোকচিত্রী সুমন ইউসুফ গত বছরের ১৩ নভেম্বর প্যারিস অ্যাটাকের সময় আর্টিস্ট ইন রেসিডেন্সি কার্যক্রমে প্যারিসে ছিলেন। তখনকার দিনগুলো দর্শক দেখেছেন তার ক্যামেরায়।
বাংলাদেশ সময়: ২০১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৬
জেএইচ