‘আমরা বাক্সবন্দি ছিলাম, বাক্সের মধ্যে থাকতাম, টেলিভিশনের মধ্যে থাকতাম। আজকে আপনারা আমাদেরকে রাস্তায় নামিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বুধবার (৩০ নভেম্বর) দিনব্যাপী টেলিভিশন শিল্পী ও কলাকুশলী সমাবেশের মাঝামাঝি মঞ্চে এসে বিদেশি অনুষ্ঠান আমদানি ও প্রচারে জড়িতদের উদ্দেশ্য করে তিনি একথা বলেন।
জাহিদ বলেছেন, ‘টেলিভিশন মালিকরা এখন শুধু অর্থটাই দেখেন, ঘর গুছিয়ে দর্শকদেরকে নিজেদের চ্যানেল দেখানোর কথা ভাবছেন না। তারা ভুলে যাচ্ছেন আমরা শিল্পীরা সামান্যভাবে আবেগ দিয়েই মানুষের মন জয় করেছি। যতোই তারা বিদেশি অনুষ্ঠান আনেন, জীবনেও কাজ হবে না। এক বছর পর দর্শকরা ছি-ছি করবে, আমি লিখে দিতে পারি। পার্শ্ববতী দেশের বা বাসার অনেক সুন্দরী খালা, মহিলা, চাচি, আন্টি থাকতে পারে, কিন্তু নিজের মা যেভাবেই হোক নিজের মা-ই। বাংলাদেশের জনগণ ও দর্শক এটা গ্রহণ করবে না। ’
‘শিল্পে বাঁচি, শিল্প বাঁচাই’ প্রতিপাদ্য নিয়ে টিভি সংশ্লিষ্ট কলাকুশলীদের ১৩টি সংগঠনের জোট সংগঠন ফেডারেশন অব টেলিভিশন প্রফেশনালস অর্গানাইজেশন (এফটিপিও) আয়োজিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ সময় মঞ্চে আরও ছিলেন অভিনেতা আজিজুল হাকিম, শহীদুজ্জামান সেলিম, তৌকীর আহমেদ, অভিনেত্রী বিপাশা হায়াত ও রোজী সিদ্দিকী।
জাহিদ বললেন, ‘আমাদের সবার কথা এক, দাবিও এক। সেজন্য আমাদের এখানে আসা। আমরা মঞ্চের ছয়জনই মঞ্চ থেকে এসেছি। আমরা শিখে এসেছি। আগে অনুষ্ঠানের মাননির্ণয় হতো। কিন্তু এখন চ্যানেলের বউ কিংবা শ্যালিকা বসে অনুষ্ঠান নির্বাচন করে। তাদের সঙ্গে কোনো শিল্পী ছবি তুলতে না চাইলে প্রিভিউতে তার নাটক আটকে থাকে। ব্যক্তি থেকে শিল্প অন্য জায়গায় চলে যাচ্ছে। ’
নবীনদের ব্যাপারে হতাশার সুরে জাহিদের ভাষ্য, ‘আমাদের শিল্পীদেরকে কেউ কেউ ঠিক করে দিচ্ছেন শুধু তার কাজ করা যাবে। অন্য জায়গায় যেন কাজ না করে। এটা এক ধরনের মনোপলি ব্যবসা। নাটকে কাজ করার চেয়ে গুলশানের একটি দোকানে রাতে কে কফি খেতে যাবে কি যাবে না তা নির্ধারণ করা হচ্ছে। আমি এর ধিক্কার জানাই। ’
বাংলাদেশ সময়: ০২৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৬
জেএইচ