কলকাতা: একই প্রশ্ন ছিলো যীশু সেনগুপ্ত এবং অঙ্কুশের কাছে। তোমাদের প্রিয় ড্যান্সার কে? আলাদা আলাদাভাবে দু’জনে উত্তর দিলেও নাম শোনা গেলো একই- ‘গোবিন্দ’।
ঢুকেই চোখে পড়লো জোরকদমে শুটিং চলছে। কিছুক্ষণের মধ্যে সামনে পাওয়া গেলো গোবিন্দকে। আলো ঝলমলে নাচের জন্য তৈরি নজরকাড়া মঞ্চে খোশমেজাজে আছেন ‘হিরো নাম্বার ওয়ান’। মানানসই স্যুট আর চোখে রোদচশমার সঙ্গে ব্যক্তিত্ব মিলিয়ে দারুণ স্মার্ট দেখাচ্ছিলো তাকে। তিন দশক ধরে হিন্দি ছবির জগতে একনাগাড়ে জনপ্রিয়তা ধরে রাখা তো মুখের কথা নয়!
মঞ্চে গোবিন্দ বিচারকের ভূমিকায়। শুটিংয়ের ফাঁকে ফাঁকে যতোটা সময় পাওয়া যাচ্ছিলো তার মধ্যেই অল্প কথা বলার অনুমতি মিললো। একদিকে বলিউড অভিনেতা, অন্যদিকে রাজনীতির ময়দানেও পরিচিত মুখ তিনি। একটা-দুটো কথা বলার পরই বোঝা গেলো রূপালি পর্দার মতোই হাসিখুশি মানুষ তিনি।
বাংলানিউজ: বিচার করার সময় এসব খুদে প্রতিভাদের কোন দিকটি আপনার কাছে প্রাধান্য পায়?
গোবিন্দ: ‘ইয়ে সব ছোটে ছোটে পেয়ারে বাচ্চে হ্যায়... ওরা সহজভাবে
স্বাভাবিক ছন্দে কী করতে পারে সেটাই দেখার বিষয়। নাচ কতোটা ভালোবেসে করছে সেটাও আমার নজরে থাকবে। আমার কাছে বাচ্চারা প্রত্যেকেই সেরা। এদের মধ্যে সেরার সেরা বেছে নেওয়া সত্যিই কঠিন।
বাংলানিউজ: বাচ্চারা মঞ্চে ‘গোবিন্দ স্টেপ’ করছে। কেমন লাগছে?
গোবিন্দ: খুদেদের কাছ থেকে গোবিন্দ স্টেপ দেখাটা আমার কাছে সবচেয়ে বড় পাওনা।
বাংলানিউজ: আপনাদের সময়ের নাচের থেকে এ সময়ের নাচে কোনো পরিবর্তন লক্ষ্য করছেন?
গোবিন্দ: আমাদের সময় নাচের একটা ভাষা ছিলো, সেটা মিস করি। এখন নাচ অনেকটা ফিজিক্যাল এক্সারসাইজ।
বাংলানিউজ: কলকাতাকে কেমন লাগে?
গোবিন্দ: বাংলা ভাষা খুব মিষ্টি। আর কলকাতা এই বাচ্চাগুলোর মতোই সুন্দর।
এর মধ্যে উপস্থিত হলেন ‘ড্যান্স বাংলা ড্যান্স’–এর আরেক বিচারক অভিনেত্রী শ্রাবন্তী। সুযোগ পেয়ে তাকেও প্রশ্ন করা হলো।
বাংলানিউজ: দীর্ঘ ছয় মাস জি বাংলার পর্দা জমিয়ে রেখেছিলো অসাধারণ সব খুদে প্রতিভা। শহরের থেকেও শহরতলির প্রতিভাই চোখে পড়েছে বেশি। এদেরকে মিস করবেন?
শ্রাবন্তী: এতোদিন ধরে একটা পরিবারের মতো সবাই মিলেমিশে ছিলাম। সেই সংসারটা ভেঙে যাবে ভাবতেই খারাপ লাগছে। অবশ্যই এই বাচ্চাগুলোকে খুব মিস করবো। জানেন? অন্য দুই বিচারক যীশু সেনগুপ্ত আর অঙ্কুশের মনের কথাও এটাই।
বাংলানিউজ: দুই খুদে সঞ্চালক রক্তিম আর রক্তিমা? এদের সঙ্গে কি পরে সত্যিই তারকাদের যোগাযোগ থাকে?
শ্রাবন্তী: আমি, যীশুদা আর অঙ্কুশ আলোচনা করছিলাম অনেকদিন পর ওদের সঙ্গে দেখা হলে হয়তো চট করে চিনতেও পারবো না। কিন্তু সত্যি কথা, ওদেরও খুব মিস করবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৬
ভি.এস/জেএইচ