আদনান ও রূপা এ সময়ের তরুণ-তরুণী। তারা একে অপরকে ভালোবাসে।
চারপাশের অনেক মানুষের দীর্ঘদিনের ভালোবাসার সম্পর্ক দাম্পত্য জীবনে গড়ানোর মাত্র কিছুদিনের মধ্যে ভেঙে গেলে আদনান ও রূপা ব্যথিত হয়। নিজেদের ভবিষ্যৎ দাম্পত্য জীবন নিয়ে শঙ্কা কাজ করে তাদের মধ্যে। দু’জনে ভালো থাকার সঠিক পথ খুঁজতে থাকে।
ঠিক এমন একটা সময়ে কোনো এক রেস্তোরাঁয় এক বয়োবৃদ্ধ জুটির ভালোবাসা দেখে মুগ্ধ হয় আদনান ও রূপা। নিজেদের চোখে তারা এ জুটির জীবনের সুখ আর ভালোবাসা দেখতে পায়। আবার বাস্তবে ফিরে এটা শুধুই কল্পনা ভেবে গাড়িতে যাওয়ার পথে গল্প করতে থাকে তারা।
তখনই রাস্তার পাশে অবস্থাসম্পন্ন ঘরের এক মেয়েকে চোখ, হাত-পা বাঁধা অবস্থায় রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখে। মেয়েটার স্বামীই তার এই অবস্থার জন্য দায়ী। আদনান ও রূপা এই আধুনিক জুটির চোখের ভেতর নিজেদের আরেকভাবে আবিস্কার করে। যারা অনেক আধুনিক। আপাতদৃষ্টিতে তাদের অনেক সুখী মনে হয়। কিন্তু তারা দেখে এই জীবনটা মেকি আর জঞ্জালে ভরা কদাকার, যেখানে একে অপরের প্রতি ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, সহমর্মিতা, আবেগ, মমতা কিছুই নেই। আছে শুধু লোভ আর ঠকানোর নেশা।
গল্পটি ‘হ্যাপিনেস’ নাটকের। এতে আদনান ও রূপা চরিত্রে অভিনয় করেছেন অপূর্ব ও সানজিদা প্রীতি। গল্পের প্রয়োজনে তিন রকম চরিত্রে ক্যামেরার সামনে আসতে হয়েছে তাদেরকে। এর মধ্যে বয়োবৃদ্ধ জুটির তরুণ সময়ে মানানসই হতে পোশাক ও চুলের স্টাইলে তারা বেছে নিয়েছেন পুরনো দিনের সাজগোজ।
শুরুতে নাটকটির নাম রাখা হয়েছিলো ‘চোখ’। পরে তা পরিবর্তন করা হয়। এটি লিখেছেন আসাদুজ্জামান সোহাগ, পরিচালনায় তপু খান। কিছুদিন আগে ঢাকার উত্তরা, গুলশান ও বনানীতে এর চিত্রায়ন হয়েছে। শিগগিরই আরটিভিতে প্রচার হবে এটি।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৬
জেএইচ