ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

সিঙ্গাপুর চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা পরিচালক ও অভিনেতা বাংলাদেশের

জনি হক, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০১৬
সিঙ্গাপুর চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা পরিচালক ও অভিনেতা বাংলাদেশের

সিঙ্গাপুর আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ২৭তম আসরে সেরা পরিচালকের পুরস্কার জিতলেন বাংলাদেশের আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ। নিজের প্রথম ছবি ‘লাইভ ফ্রম ঢাকা’র জন্য এই স্বীকৃতি পেলেন তিনি।

সিঙ্গাপুর আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ২৭তম আসরে সেরা পরিচালকের পুরস্কার জিতলেন বাংলাদেশের আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ। নিজের প্রথম ছবি ‘লাইভ ফ্রম ঢাকা’র জন্য এই স্বীকৃতি পেলেন তিনি।

সিলভার স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডস বিভাগে প্রতিযোগিতা করা ‘লাইভ ফ্রম ঢাকা’য় দারুণ অভিনয়ের সুবাদে সেরা অভিনেতা হয়েছেন মোস্তফা মনওয়ার। তার ও নিজের পুরস্কার গ্রহণ করেন ৩১ বছর বয়সী সাদ।

শনিবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুরের মেরিনা বে স্যান্ডস কমপ্লেক্সের অংশে অবস্থিত মাস্টারকার্ড থিয়েটারে লালগালিচাময় অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার প্রদান করা হয়।

সেরা এশীয় ছবি হয়েছে দীপক রাউনিয়ার পরিচালিত নেপালের ‘হোয়াইট সান’। কাহিনিচিত্র বিভাগে প্রধান বিচারক ছিলেন জাপানের নারী নির্মাতা নাওমি কাওয়াসে। উৎসবটি শুরু হয় ২৪ নভেম্বর।

শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) ‘লাইফ ফ্রম ঢাকা’র ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয় এ উৎসবে। এটাই চট্টগ্রামের ছেলে আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদের প্রথম ছবি। এটি তিনি বানিয়েছেন সাদাকালোতে।

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার পথ খুঁজে চলা আংশিকভাবে প্রতিবন্ধী সাজ্জাদকে ঘিরে এ ছবির গল্প। শেয়ারবাজার ধসে সে সর্বস্ব হারিয়েছে। ঋণের বোঝায় অতীষ্ঠ হয়ে ওঠে এই যুবক। ৯৪ মিনিট ব্যাপ্তির ছবিটিতে দেখানো হয়েছে নৈতিকতা ও আত্মরক্ষার মধ্যে একটিকে বেছে নেওয়ার জটিল পরিস্থিতিতে পড়ার মানুষের যন্ত্রণা।

নিজের ছবি প্রসঙ্গে সাদ বলেছেন, ‘আমি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ঢাকায় আছি। শহরটিকে ঘিরে ভালোবাসা ও ঘৃণা দুই ধরনের অভিজ্ঞতাই হয়েছে আমার। সম্ভবত এটাই আমাকে এমন একটি চরিত্র সাজাতে উদ্বুদ্ধ করেছে যে কোনোভাবেই ঢাকাকে আর নিতে পারছে না এবং উন্নত জীবনের খোঁজে অভিবাসী হয়ে যেতে চায়। ’

‘লাইফ ফ্রম ঢাকা’ প্রযোজনা করেছে খেলনা ছবি। সাদের ভাষ্য, ‘মুক্ত ছবিটিতে বাংলাদেশের দ্রুত অগ্রসরতা বোঝা যাবে। গত কয়েক বছরে আমাদের দেশে দারুণ কিছু ছবি তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘পিঁপড়াবিদ্যা’, কামার আহমেদ সাইমনের ‘শুনতে কি পাও!’, বিজনের ‘মাটির প্রজার দেশে’, আবু শাহেদ ইমনের ‘জালালের গল্প’র কথা বুক ফুলিয়ে বলতে পারি। এসব ছবি তরুণদেরকে চলচ্চিত্র নির্মাণে অনুপ্রেরণা জোগাবে। ”

আরও পড়ুন>>>
* সিঙ্গাপুর উৎসবে বাংলাদেশের ‘লাইভ ফ্রম ঢাকা’

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৬
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।