ঢাকা, সোমবার, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৯ জুলাই ২০২৪, ২২ মহররম ১৪৪৬

বিনোদন

‘অনেক প্রযোজক আমার প্রাপ্য পারিশ্রমিক দেননি’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৫ ঘণ্টা, মে ১, ২০১৮
‘অনেক প্রযোজক আমার প্রাপ্য পারিশ্রমিক দেননি’ আজিজুর রহমান

খুব কাছের এক বড় ভাইয়ের হাত ধরে চলচ্চিত্রে ‘প্রোডাকশন বয়’ হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন মো. আজিজুর রহমান। সবার কাছে তিনি আজিজ নামেই পরিচিত। ১৯৯০ সালে মালেক আফসারী পরিচালিত ‘দুর্জয়’ চলচ্চিত্র দিয়ে যাত্রা শুরু তার। এখন পর্যন্ত প্রায় আড়াইশ’ ছবিতে কাজ করেছেন তিনি।

মহান মে দিবসে চলচ্চিত্রে কাজ করার অভিজ্ঞতা ও নিজের সম্পর্কে বাংলানিউজের সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎপাদন ব্যবস্থাপক সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান। চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে আজিজুর রহমান

তার গ্রামের বাড়ি যশোরে।

চলচ্চিত্রে ২৮ বছর পার করলেও এখানে কাজ করে সন্তুষ্ট নন তিনি। চলচ্চিত্র উৎপাদনে অনেক বড় অবদান থাকে তাদের। কিন্তু তার দাবি কখনও সঠিক মূল্যায়ন পাননি।  

আজিজ বলেন, দীর্ঘদিন চলচ্চিত্রে কাজ করছি। চলচ্চিত্রের প্রোডাকশন সংক্রান্ত সব কাজ আমরা করে থাকি। শুটিংয়ের আগ থেকে শুরু করে চলচ্চিত্র মুক্তি পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সব দায়িত্ব আমাদের হাতে থাকে। কিন্তু কখনও সঠিক মূল্যায়ন পেয়েছি বলে মনে হয় না।

আজিজ কখনও ভাবেননি চলচ্চিত্রে তিনি ক্যারিয়ার গড়বেন। তবে পরিচিত এক ভাইয়ের হাত ধরে তিনি কাজ শুরু করেন। নিজেই শোনালেন চলচ্চিত্রে আসার গল্প, ‘শাহজাহান মোল্লা নামে আমার এলাকার পরিচিত এক বড় ভাই ছিলেন। তিনিও চলচ্চিত্রে প্রোডাকশন ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন। তার সঙ্গে মাঝেমধ্যে আমি শুটিংয়ে আশা যাওয়া করতাম। একসময় তিনি তার কয়েকজন বন্ধু মিলে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করলেন। তখন ওই চলচ্চিত্রের সবরকম কাজ খুব কাছ থেকে দেখি। এরপর নিজেই প্রোডাকশন বয় হিসেবে কাজ শুরু করি। ’চিত্রনায়ক আলমগীরের সঙ্গে আজিজুর রহমান

প্রোডাকশন বয় হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করলেও বর্তমানে প্রোডাকশন ম্যানেজার হিসেবেই কাজ করছেন ৪২ বছর বয়সের আজিজ। তবে দীর্ঘ চলচ্চিত্রের ক্যারিয়ার নিয়ে নানা প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তি নিয়ে তার মনের মধ্যে অনেক ক্ষোভ রয়েছে। বহু চলচ্চিত্রে অর্থ বাকি রয়েছে বলেও জানান তিনি।

আজিজের ভাষ্যে, ‘অনেক প্রোডিউসার আছেন যারা আমার প্রাপ্য পারিশ্রমিকও দেননি। আবার অনেকে নির্ধারিত অর্থের চেয়ে কম পারিশ্রমিক দিয়েছেন। অনেকবার যোগাযোগ করেই সে টাকাগুলো আর উদ্ধারও সম্ভব হয়নি। ’

আজিজ যখন চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন তখন কাজও বেশি ছিলো, সঙ্গে পারিশ্রমিকও। কিন্তু দিনদিন তা কমতে থাকে। এখন একেবারে কাজ কম বলে তার দাবি। তাই তিনি চলচ্চিত্রের কাজ ছেড়ে অন্য কাজ করার পরিকল্পনা করছেন।

তিনি বলেন, ‘একটা সময় প্রচুর কাজ করতাম। পারিশ্রমিকও অনেক পেতাম। কিন্তু এখন চলচ্চিত্রের মন্দাভাবের কারণে কাজ নাই বললেইও চলে। আর পারিশ্রমিকও যা পাই তা কাজের তুলনায় অনেক কম। আমাদের দেশে সঠিক পারিশ্রমিক দেওয়া হয় না। অথচ প্রতিবেশী দেশে সমপরিমাণ কাজ করে কয়েকগুণ বেশি পারিশ্রমিক মেলে। যা আয় করি তা দিয়ে চলতে কষ্ট হয়ে যায়। তাই মাঝেমধ্যে ভাবি অন্য কোনো কাজ করলে হয়তো আরও ভালো থাকতাম। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৪ ঘণ্টা, মে ০১, ২০১৮
জেআইএম/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।