সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ চলচ্চিত্রের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা উপলক্ষে ‘ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবালের মুখে সুন্দরবনের গল্প ও কলাকুশলী পরিচিতি’ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
জাফর ইকবাল বলেন, চলচ্চিত্র যখন কেউ দেখে, তখন একটা পরিতৃপ্তি সৃষ্টি হয়।
তিনি বলেন, গোটা বিশ্ব থেকে আসা চলচ্চিত্রগুলো আমরা দেখি। তখন আমার খুব দুঃখ হয়। কেন আমাদের দেশে সুন্দর করে বাচ্চাদের জন্য চলচ্চিত্র তৈরি করতে পারি না? যখনই কেউ বাচ্চাদের জন্য চলচ্চিত্র তৈরি করে, তখন আমি তাদের উৎসাহ দিই। আজকে এখানে এসে আমার খুব ভালো লাগছে। এই চলচ্চিত্রের কলাকুশলী সবার সঙ্গে পরিচয় হয়ে ভালো লাগছে। সবাই গল্পটিকে নিজের মধ্যে ধারণ করেছেন। আশা করি, নির্মাতা ও কলাকুশলীরা দেশে শিশুদের জন্য সুন্দর একটি চলচ্চিত্র উপহার দিতে পারবেন।
তিনি এও বলেন, আমার একটি বই ব্যতিক্রম। সেটা হলো ‘রাতুলের রাত রাতুলের দিন’। বইটি যখন লিখেছিলাম, তখনই চিন্তা করেছিলাম, এটা নিয়ে যদি কেউ ছবি বানাতে চায়, আমি না করব না।
এক প্রশ্নের জবাবে জাফর ইকবাল বলেন, আমি একমাত্র লেখক নই, চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য শুধু আমার গল্প লাগবে। আরও অনেক লেখক আছেন, তাদের গল্প নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মিত হতে পারে। কেউ যদি ভালো চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে পারে, তখন তাকে গল্প দিতে আমার কোনো আপত্তি নেই। আমি এখনও চলচ্চিত্র নির্মাণে গল্প দিতে নিশ্চিত হতে পারছি না। একজনকে চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে গল্প দিলাম, কিন্তু চলচ্চিত্রটি ভালো না। তখন কী হবে? গল্প চলচ্চিত্রের মূল নয়। এছাড়াও আরও অনেক বিষয় আছে, অভিনেতা-অভিনেত্রী, সংগীত,এডিটের বিষয় আছে। ফটোগ্রাফির বিষয় আছে। সবকিছু মিলে একটি চলচ্চিত্র।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২০
এমএমআই/টিএ