অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন কিংবদন্তী কণ্ঠশিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদী, সাবিনা ইয়াসমিন, মিতালী মুখার্জি ছাড়াও কণ্ঠশিল্পী মোমিন বিশ্বাস, জাহাঙ্গীর সাঈদ ও মিলিয়া সাবেদ। অনুষ্ঠানে হুইলচেয়ারে বসে সস্ত্রীক উপস্থিত হন এন্ড্রু কিশোর।
এন্ড্রু কিশোর বলেন, আমার দেশের প্রধানমন্ত্রী যে ভালোবাসা ও দায়িত্বের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, তাতে আমার কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা নেই। মানুষ আমার জন্য যেভাবে দোয়া ও ভালোবাসা প্রদর্শন করেছেন, তা আমাকে শক্তি ও সাহস জুগিয়েছে।
কথা বলার পাশাপাশি নিজ কণ্ঠে গান গেয়ে শোনান তিনি। কণ্ঠে তুলেন তার জনপ্রিয় গান ‘জীবনের গল্প, আছে বাকি অল্প...’। এন্ড্রু কিশোরের সঙ্গে কণ্ঠ মেলান উপস্থিত শিল্পী এবং দর্শকরাও।
অনুষ্ঠানটির আয়োজক, শিল্পী সমাজ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ছাড়াও দেশ-বিদেশে অবস্থানকারী সকল বাঙালীদের প্রতি তার দুঃসময়ে পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এন্ড্রু কিশোর।
অনুষ্ঠানটির মাধ্যমে এন্ড্রু কিশোর ব্যক্তিগতভাবে আরেক অসুস্থ সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক সেলিম আশরাফের চিকিৎসা সহায়তায় ৫ হাজার সিঙ্গাপুর ডলারের একটি খাম সাবিনা ইয়াসমিন এবং সৈয়দ আব্দুল হাদীর হাতে তুলে দেন। এছাড়াও সাবিনা ইয়াসমিন ও সৈয়দ আব্দুল হাদীও ব্যক্তিগতভাবে এ সুরকারের চিকিৎসায় সহায়তা প্রদান করেছেন।
দেশবাসীর কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে নিজের সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়ে মঞ্চ থেকে বিদায় নেন এন্ড্রু কিশোর।
বাংলাদেশ সময়: ১০১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২০
ওএফবি/জেআইএম