এই দিনটিকে ঘিরে সবার ভেতর উৎসবের যে উৎসাহ দেখতে পাই, তা অবশ্যই সুন্দর। ক্ষতি কী একটা দিন যদি আনুষ্ঠানিকভাবে উদযাপন করা হয়! যদিও আমার নিজের জীবনে এই দিনের কোনো বিশেষ তাৎপর্য কখনো’ই ছিল না, তবু যাদের জীবনে আছে তাদের উদযাপন দেখতে ভালো লাগে আমার।
এই দিনটায় সাধারণত কাজেই ব্যস্ত থাকি। গানের অনুষ্ঠান থাকে, বইমেলায় যাওয়ার পরিকল্পনা থাকে- ফেব্রুয়ারির অন্য দিনগুলোর মতোই। ছোটবেলায় এই দিনটা নিয়ে একটা ভীতি কাজ করতো। পাড়ার প্রেম-প্রত্যাশী ছেলেগুলো কিছু করে বসে কি না। মানে ফুল বা চিঠি ধরিয়ে দেয় কী না এই ভয় কাজ করতো। তাই ভালোবাসা দিবসে প্রেম প্রত্যাশী ছেলেদের ভয়ে স্কুলে যেতাম না। বাড়িতে বসেই দিনটা কেটে যেত।
বড় হওয়ার পর থেকে গান গেয়েই কেটে যায় এই দিন। তবে বেনামি উপহার পেয়েছি বিভিন্ন সময়। সেটাও আনন্দের। যে-ই পাঠাচ্ছেন ভালোবেসেই তো পাঠাচ্ছেন। ক্ষতি কী! ভালোবাসা যেমনই হোক, তা সুন্দর। পৃথিবীর সব প্রেয়স-প্রেয়সীকে শুভেচ্ছা। আর আমার বিশেষ মানুষ, মানে আমার প্রবাসী বরকে ভালোবাসা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২০
ওএফবি