তারা বলেছেন, রোজভ্যালি কাণ্ডে মোদী সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা দিনের পর দিন তাপস পালকে জেরা করেছে, তার ফলেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং অবশেষে অকালেই চলে গেলেন।
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার ভোরে মারা যান তাপস পাল।
তাপস পালের মৃত্যুর পর কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তাপস খুব কষ্ট পেয়েছে। একটা মানুষকে চোর বলা হয়েছে, অথচ তা প্রমাণ করতে পারেনি। দিনের পর দিন তাকে জেরা করা হয়েছে। গ্রেফতার করে জেলে রাখা হয়েছে। ক্রিমিনাল কেস শুরু করে বছরের পর বছর ঝুলিয়ে রাখলে যে মানসিক যন্ত্রণা হয়, তার ফলেই ওর মৃত্যু হল। বিরোধীরা খুব খুশি। এটাই ওরা চেয়েছিল।
রোজ়ভ্যালিকাণ্ডে ২০১৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর তাপস পালকে গ্রেফতার করে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই ৷ একটি প্রকল্প থেকে তিনি আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন, এটাই ছিল তার বিরুদ্ধে অভিযোগ। ২০১৮ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ওড়িশার জেল থেকে তিনি জামিনে মুক্তি পান।
কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের জঘণ্য চক্রান্তের কারণেই তাপস পালকে অকালে চলে যেতে হলো।
পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের রাজনীতিতে জড়িয়ে দুইবার এমপি নির্বাচতি হন তাপস পাল।
জেলখানায় মানসিকভাবে প্রচণ্ড চাপের মুখে ছিলেন তাপস পাল। স্নায়বিক সমস্যা তখন থেকেই শুরু। অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন শেষের দিকে। জামিন পাওয়ার পরে ঈশ্বরের নাম নিয়ে তাপস পালের আকুল কান্নার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২০
এজে