বলিউডে স্বজনপোষণ প্রসঙ্গে কঙ্গনা রনৌত যে মন্তব্য করেছেন, সেবিষয়ে সাইফ একেবারেই সহমত নন। সাইফ বলেন, ‘কফি উইথ করণ নিয়ে কঙ্গনা কী বলেছে আমার ধারনা নেই।
স্বজনপোষণ বিতর্ক নিয়ে সাইফ বলেন, দেশে যে বৈষম্য রয়েছে সেটা অবশ্য বিশ্লেষণ করা উচিত। স্বজনপোষণ, পক্ষপাতিত্ব, শিবির, এগুলি সবই বিভিন্ন বিষয়। আমি নিজেও স্বজনপোষণের শিকার হয়েছিলাম, কিন্তু তখন কেউ এই বিষয়টা নিয়ে কথাই বলেনি। তখন ফিল্ম ইনস্টিটিউট থেকে আসা ছেলেমেয়েরা সামনের সারিতে থাকত, সেগুলি খুশি হয়েই দেখেছি। এই বৈষম্য নিয়ে যখন কথা হয়, যখন যোগ্যতার পক্ষে কথা হয়, তখন সেগুলি স্বাগত জানাই।
সাইফ আলি খানের এ মন্তব্যের পরেই সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক ট্রোলিংয়ের শিকার হতে হচ্ছে শর্মিলা ঠাকুর ও মনসুর আলি খানের পুত্রকে। একজন টুইটার ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন, ‘স্বজনপোষণে বেড়ে ওঠা ব্যক্তি নিজেকেই কী করে স্বজনপোষণের শিকার বলে দাবি করেন!’ আরেকজন বলেন, ‘সাইফের মা শর্মিলা ঠাকুর নিজেই অনেক বড় একজন অভিনেত্রী ছিলেন। আর বাবা মনসুর পতৌদি দেশের অন্যতম শীর্ষ ধনী ব্যক্তি ছিলেন তখন। এরপরও তিনি নাকি স্বজনপোষণের শিকার!’ এমনকি সারা আলি খান এবং তৈমুরকেও টেনে আনা হয়েছে ট্রোলিংয়ে।
একজন টুইটারে মন্তব্য করেন, ‘স্বদেশ’ সিনেমার জন্য শাহরুখ খান জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাবেন বলে যখন সবাই একরকম নিশ্চিত ছিল, তখন বিস্ময়করভাবে ‘হাম তুম’ সিনেমার জন্য সাইফকে পুরস্কার দেওয়া হলো। সাইফ সত্যিই ‘নেপোটিজম’র শিকার!
প্রসঙ্গত, ওই একই সাক্ষাৎকারে সুশান্ত সিং রাজপুতকে নিয়েও মুখ খোলেন সাইফ আলি। তিনি স্বীকার করেন, সুশান্ত তার থেকেও অনেক বেশি উজ্জ্বল তারকা ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০২০
এমকেআর