ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

চীনা কোম্পানি স্পন্সর, তাই পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করলেন জিৎ

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৯ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০২০
চীনা কোম্পানি স্পন্সর, তাই পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করলেন জিৎ জিৎ

ভারত-চীন বিবাদের প্রভাব দু’দেশের কূটনৈতিক, রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক পরিসীমায় আবদ্ধ নেই। বিনোদন তারকারাও সোচ্চার হয়েছেন জাতীয় স্বার্থে। এই প্রেক্ষিতে কলকাতার জনপ্রিয় নায়ক জিৎ একটি সম্মাননা ফিরিয়ে দিয়েছেন, যার স্পন্সর হিসেবে যুক্ত আছে একটি চীনা কোম্পানি। 

চীনা বাহিনী যেভাবে ভারতীয় জমি দখলের অভিযান চালাচ্ছে, তার বিরুদ্ধে এবার গর্জে উঠলেন টলিউড অভিনেতা জিৎ। তবে নিজস্ব ভঙ্গীতে।

একটি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের স্পন্সর হিসেবে যুক্ত রয়েছে চীনা সংস্থা, আর ঠিক সে কারণেই দেশের সম্মানে পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করলেন জিৎ। ‘সীমান্তে গিয়ে লড়তে না পারলেও নিজের দেশের জন্য এটুকু তো করাই যায়!’ মন্তব্য করেন টলিউড অভিনেতা।

ক’দিন আগেই চীনা অ্যাপ টিকটককে নিষিদ্ধ করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অভিনেত্রী-সংসদ সদস্য নুসরাত জাহান। পাশাপাশি তৃণমূলের যুবশক্তির রাজ্য কো-অর্ডিনেটর তথা অভিনেতা সোহম চক্রবর্তীরও মন্তব্য ছিল, ‘অ্যাপ নিষিদ্ধ করলে তো আর শহীদরা ফিরে আসবেন না!’ চীনের প্রতি নরম সুরের পেছনে মূলত টিকটকে নিজেদের বাণিজ্যিক স্বার্থই এই মন্তব্যের কারণ বলে মনে করছেন সামাজিকমাধ্যম ব্যবহারকারীরা।  

তবে নুসরাত-সোহমের থেকে একেবারে উল্টো পথে হেঁটে দেশপ্রেমের নজির স্থাপন করেছেন টলিউড সুপারস্টার জিৎ মদনানি। সংস্থার নামোল্লেখ না করেই পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের কথা জানিয়েছেন অভিনেতা।

দিন কয়েক আগে এক সংস্থা চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদানের জন্য ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। সেখানেই দর্শকের বিচারে সেরা অভিনেতার শিরোপা জেতেন জিৎ।  

কিন্তু ভারত-চীন সীমান্তের বর্তমান পরিস্থিতি ভাবিয়ে তুলেছে অভিনেতাকে। সম্প্রতি লাদাখে ইন্দো-চীন সংঘর্ষে শহীদ হয়েছেন ২০ জন ভারতীয় জওয়ান। সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে সামাজিকমাধ্যমে একটি পোস্ট করে জিৎ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট সংস্থার দেওয়া পুরস্কার তিনি গ্রহণ করতে পারবেন না।

অভিনেতা জিতের মন্তব্য, ‘যে সমস্ত দর্শক আমাকে ভোট দিয়েছেন, যারা আমাকে ভালবাসেন, তাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। পুরস্কার পেতে কার না ভাল লাগে বলুন! পরিবারের সদস্যরা, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব সবাই খুশিও হয়। বিশেষ করে বাড়ির বাচ্চারা ট্রফি দেখলেই আনন্দ পায়। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট সংস্থার দেওয়া পুরস্কার গ্রহণ করতে কিছুতেই আমার মন সায় দিচ্ছে না!’

আপত্তিটা ঠিক কোন কারণে? এপ্রসঙ্গে অভিনেতা পরিষ্কার জানিয়েছেন, ‘অনেকেই হয়তো জানেন না যে এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের সঙ্গে একটি চীনা কোম্পানি যুক্ত রয়েছে। আমার ব্যক্তিগতভাবে কারও সঙ্গে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু এই মুহূর্তে আমাদের দেশের সঙ্গে চীনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ভাল নয়। চীনের আগ্রাসী মনোভাবের জন্যই শহীদ হতে হয়েছে আমাদের দেশের জওয়ানদের। আর এমতাবস্থায় কোনও মতেই আমি এই পুরস্কার নিতে পারব না। সীমান্তে গিয়ে লড়াই না করতে পারলেও নিজের দেশের জন্য তো এটুকু করাই যায়। তাই পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করলাম। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০২০
এমকেআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।